আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলছে ভবন নির্মাণ কাজ
উচ্চ আদালতের নিষেদাজ্ঞা অমান্য করে লক্ষ্মীপুরে ৩২ শতাংশ জমিতে ‘পার্ক টাওয়ার’ নামে একটি মার্কেটের বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ চলছে। যার ৬ শতাংশ জমির মালিকানা দাবি করছে লক্ষ্মীপুর ট্রাক মালিক সমবায় সমিতি।
রোববার (৩১ মার্চ) সকাল ১০ টার দিকে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বহুতল ভবনটির নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধের আদেশ জারি করে ২৩ মার্চ লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বরাবর আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন। কাজ বন্ধ না হলে আইন লঙ্ঘন ও বিবাধের আশঙ্কা রয়েছে। এ নিয়ে ২৪ মার্চ সমিতির পক্ষে সহ-সভাপতি সুজায়েত উল্যা চট্টগ্রাম বিভাগীয় পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ট্রাক মালিক সমিতি কর্তৃপক্ষ জানায়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার উত্তর তেমুহনী এলাকায় বাঞ্চানগর মৌজায় ৩২ শতক জমির মধ্যে ৬ শতাংশ হচ্ছে ট্রাক মালিক সমিতির নামে। তাদের এ জমিটির চৌহদ্দি হচ্ছে নির্মাণাধীন পার্ক টাওয়ারের দক্ষিণ পাশে (ঢাকা-রায়পুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে)। কিন্তু ২০১২ সালে ওই জমিতে জোরপূর্বক স্থানীয় প্রভাবশালী নুরনবী মিয়া বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। পরে ট্রাকচালক সমিতি উচ্চ আদালতে পিটিশন দায়ের করলে আদালত মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার আদেশ দেন। এরপর নির্মাণ কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সম্প্রতি ফের নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর ট্রাক মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সুজায়েত উল্যা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের ৬ শতাংশ জমি ঢাকা-রায়পুর মহাসড়কের পাশে (নির্মাণাধীন ভবনের দক্ষিণ পাশে)। কিন্তু আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নুরনবী তার লোকজন দিয়ে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে। ’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নুরনবী মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ট্রাক মালিক সমিতি থেকে ৬ শতাংশ জমি ১২ লাখ টাকা দিয়ে কিনেছি। সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান অন্যদের স্বাক্ষর নিয়ে জমিটি আমার নামে লিখে দেন। কিন্তু তখনও জমিটি তাদের দখলে ছিল না। এখনো পর্যন্ত আমি ওই জমিটি চিহ্নিত করতে পারিনি। আর নির্মাণাধীন ভবনের জমিতে তাদের কোনো জমি নেই। তারা যে স্থানে জমি দাবি করছে ওইরকম কোনো চৌহদ্দিও তারা দেখাতে পারছে না।’
তদন্ত কর্মকর্তা লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক নেছার আহম্মদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ট্রাক-মালিক সমিতি তাদের জমি চিহ্নিত করতে পারেননি। তাছাড়া নুরনবীরা আদালত থেকে স্থগিতাদেশ বাতিল করে এনেছেন। যদি ট্রাক-মালিক সমিতি নির্মাণাধীন ভবনে তাদের জমি চিহ্নিত করে দিতে পারে, তাহলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।’