নুসরাতের মৃত্যুতে থমথমে সোনাগাজী
ফেনীর সোনাগাজী থেকে: অগ্নিদগ্ধ শরীর নিয়ে ৫ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর অবশেষে হার মেনেছে নুরসাত জাহান রাফি। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উপজেলার এই শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাছাড়াও নুসরাতের মাদরাসা সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় গেটেও পুলিশ সরব উপস্থিতিও দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত ১টায় সরেজমিনে মফস্বল শহরটি ঘুরে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সঙ্গে জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে যোগ হয়েছে পুলিশ সদস্যরা। সেখানে ফেনী জেলার অতিরিক্ত এসপি রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে কমপক্ষে ৪০ জন পুলিশ সদস্য টহল দিচ্ছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থার সদস্যদের উপস্থিতিতে স্থানীয়দের মাঝে ভীতির সঞ্চার হয়েছে। এলাকার রাস্তাঘাটে মানুষের আনাগোনা একদম নেই বলেই বলে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, মানুষের মাঝে ভয় কাজ করছে। নুসরাতের গায়ে আগুনের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া অবস্থানে রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'নুসরাত এর মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে যে কোন বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ অবস্থান নিয়েছে। আমরা আশেপাশে সকল স্থানে টহল দেবো। যাতে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা না ঘটে।'
এ সময় সশস্ত্র পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যদের দেখা গেছে।
অন্যদিকে রাত দেড়টার দিকেও মাদরাসার পাশে একটি চায়ের দোকানে এখনো সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা চলছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেও নুসরাত। তারা সবাই যেন নুসরাতের লাশের অপেক্ষা করছেন।
এর আগে বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুসরাত জাহান রাফি'র মৃত্যু হয়।