৮ বছর পর বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি
প্রায় আট বছর পর বগুড়া জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) জেলা বিএনপির কার্যালয়ে দলের সাধারণ সভায় পূর্বের দুই বছর মেয়াদি কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়। ভেঙে দেওয়া কমিটির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ৪৫ সদস্যের কমিটি ঘোষণ করা হয়।
এদিকে সদ্য গঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে বয়কট করে জেলা বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে পাল্টা আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা দেওয়ার উদ্দ্যেগ নেওয়া হয়েছে। তারা সোমবার বিকেলে আলাদা বৈঠক করে সন্ধ্যার পর পাল্টা কমিটি ঘোষণা করবেন বলে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টার দিকে শহরের নবাববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশে আহ্বায়ক কমিটি গঠনকল্পে সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। জেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে নির্ধারিত সভা দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে। সভায় কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেখানে বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। ৪৫ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির অন্য সদস্যদের নাম পরে ঘোষণ করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা বয়কট করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, অপর উপদেষ্টা সাবেক সাংসদ হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতিদের মধ্যে ফজলুল বারী তালুকদার বেলাল, আহসানুল তৈয়ব জাকির, মতিউর রহমান মতি, আলী আসগর তালুকদার হেনা, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, অ্যাডভোকেট রাফি পান্না এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে এমআর ইসলাম স্বাধীন, হামিদুল হক চৌধুরি হিরু, শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন, তৌহিদুল আলম মামুন ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্যে খায়রুল বাশার ও আরাফাতুর রহমান আপেলসহ সাবেক সংসদ সদস্যরা সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
নতুন ঘোষিত কমিটির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বার্তা ২৪.কমকে জানান, কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলার আহ্বায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। সেই অনুযায়ী সোমবার সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
সিনিয়র নেতাদের সভা বয়কটের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কেউ সভা বয়কট করেছে এমনটি আমার জানা নেই। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাদের জায়গা দেওয়া হবে।’
পাল্টা কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দলীয় কার্যালয়ে সর্বসম্মতভাবে কমিটি হয়েছে, এর বাইরে কোনো কমিটি গঠনের সুযোগ নেই।’
এদিকে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও বর্তমান কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাশার বলেন, দলের অনেক সিনিয়র নেতা সভা বয়কট করেছেন। সিনিয়র কোনো নেতা বা সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্যে একমাত্র অ্যডভোকেট হাফিজুর রহমান ছাড়া ওই সভায় কেউ উপস্থিত হননি। তারা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসে সভায় বসে একটি মনগড়া কমিটির ঘোষণা দিয়েছে। এর বিপরীতে সিনিয়র নেতারা বসে পাল্টা আহবায়ক কমিটি ঘোষণা দেবেন।