নুসরাত হত্যাকাণ্ড
রানা ও মামুনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ফেনীর সোনাগাজীতে নুসরাত জাহান রাফি হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন গ্রেফতার ইফতেখার হোসেন রানা ও ইমরান হোসেন মামুন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এর আগে ২০ এপ্রিল রাঙামাটি ও কুমিল্লায় পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৬ মে) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন নুসরাত হত্যার মূল পরিকল্পনায় ছিল বলে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মামুন নিজের অপরাধ ঢাকতে ৭ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মুমূর্ষু নুসরাতকে রক্ত দিতে যায়। ওই সময় সে নুসরাতকে রক্তও দেয়।’
জবানবন্দিতে তারা বলেন, নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনায় ৪ এপ্রিল হাফেজ আবদুল কাদেরের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তারা উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার দিন মাদরাসার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও কিলিং মিশনে অংশ নেওয়াদের নিরাপদে বের হয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করেন।
এ হত্যাকাণ্ডে এর আগে সিরাজ উদ দৌলাসহ নয়জন আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। অপরাপর জবানবন্দি দেওয়া আসামিদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, আবদুর রহিম ওরফে শরীফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও জোবায়ের আহমেদ।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগিরা তার শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে মারা যায় নুসরাত জাহান রাফি।
এ ঘটনায় তার বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামালা দায়ের করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আট আসামিসহ এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই।