পদ্মা পারের জন্য বাস-ট্রাকের দীর্ঘ লাইন, ভোগান্তিতে যাত্রীরা
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে পদ্মা নদী পারের জন্য তিনদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এসব ট্রাকের সঙ্গে এখন যুক্ত হচ্ছে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস। বেলা বাড়ার সাথে সাথে নদী পারের জন্য বিভিন্ন যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকে।
তীব্র গরমের মধ্যে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে নদী পারের জন্য। প্রচণ্ড গরমে এতো দীর্ঘ সময় বাসের মধ্যে অপেক্ষা করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
বুধবার (৮ মে) সরেজমিনে দৌলতদিয়া ঘাটে দেখা যায়, সকালের দিকে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট থেকে দৌলতদিয়া ১ নং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাকের সাথে নদী পারের জন্য যুক্ত হয়েছে প্রায় শতাধিক দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাস। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দূরপাল্লার যাত্রীবাহী বাসগুলোকে নদী পার করলেও যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। তবে বাসগুলোকে প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
ঢাকার উদ্দেশ্যে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ঈগল বাসের যাত্রী স্কুল শিক্ষক জোবাইদা বুলবুল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'আমরা খুলনা থেকে এখানে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এসে পৌঁছেছি। এখন পর্যন্ত ফেরির ধারের কাছেও যেতে পারলাম। আল্লাহ ভালো জানেন আমাদের কপালে কি আছে। যে গরম পড়েছে তার মধ্যে আবার রৌদ্রের ভেতরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের মধ্যে বসে থাকাটা আমাদের জন্য ভীষণ কষ্টের।'
পাইকগাছা থেকে ছেড়ে আসা গ্রিন বাংলা বাসের চালক ইব্রাহিম সরকার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বেলা ১২টা থেকে এখন পর্যন্ত অপেক্ষা করছি ফেরির জন্য। এখনো আমার বাসটি ফেরি ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে। জানি না আরও কত সময় লাগবে ফেরিতে উঠতে। এতো সময় বাসের মধ্যে বসে থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে নারী ও শিশু যাত্রীরা। প্রচণ্ড গরমে তারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে।'
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো: শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'বর্তমান দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৫টি ফেরি সব সময় চলাচল করছে। ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে এই নৌরুটে ফেরি বন্ধ থাকার কারণে ট্রাকের চাপটা একটু বেড়ে যায়। তবে আমরা প্রচণ্ড গরমের কথা মাথায় রেখে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার বাসগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগে নদী পার করছি। এখন বাস যাত্রীদের যেটুকু অপেক্ষা করতে হচ্ছে আশা করছি বিকেলের মধ্যে তা আর করতে হবে না।'