১০০ টাকার তরমুজ ৩০০ টাকা

  • সোহেল মিয়া, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর রেলগেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা বিপ্লব।  ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজবাড়ীর রেলগেট এলাকার তরমুজ বিক্রেতা বিপ্লব। ছবি: বার্তা২৪.কম

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ১শ টাকার তরমুজ এখন ৩শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রমজান মাসকে পুঁজি করে রাজবাড়ীর পাঁচটি উপজেলায় বাজারে সিন্ডিকেট করে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।

ফলে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে এখন এই মৌসুমী ফল। রোজা শুরুর আগেও রাজবাড়ীতে তরমুজ বিক্রি হতো পিস হিসাবে। আর এখন সেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি হিসাবে। বিক্রেতারা প্রতি কেজি তরমুজের দাম চাচ্ছে ৬০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। আর কেজি হিসাবে বিক্রি করার কারণে ১শ টাকার তরমুজ এখন ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৩শ টাকা দিয়ে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে হঠাৎ করে কেজি হিসাবে তরমুজ বিক্রি শুরু হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ ক্রেতারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাজবাড়ীর রেলগেট এলাকায় বেশ কয়েকটি তরমুজের দোকান রয়েছে। সেখানে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজি দরে। প্রতি কেজি তরমুজের দাম তারা নিচ্ছেন ৬০ থেকে ৯০ টাকা পর্যন্ত। যাদের অর্থনৈতিক অবস্থা একটু সচ্ছল তারা কিনছে আর যারা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত তারা দাম শুনেই চলে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/14/1557822686273.gif

বালিয়াকান্দি বাজারে তরমুজ কিনতে আসা ভ্যান চালক জামাল উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার ছেলে অনেক দিন হলো তরমুজ খেতে চেয়েছে। তাই ভাবলাম আজ কিনে নিয়ে যাবো। কিন্তু কিনতে এসে আমি হতবাক হয়ে গেলাম। যে তরমুজের দাম ৬০-৭০ টাকা, সেই তরমুজের দাম চাচ্ছে ২৬০ টাকা। আমি আজ সারা দিন ধরে এতো টাকা আয়ই করতে পারিনি। তাহলে তরমুজ কিনব কীভাবে?’

এ বিষয়ে তরমুজ বিক্রেতা বিপ্লব বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা কী করব। যে ১শ পিস তরমুজ গতবছর আমরা ১০-১২ হাজার টাকায় কিনেছি, এবার তা ৩০ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। উপায় না পেয়ে তাই কেজি দরে বিক্রি করছি।’

রোজা শুরুর আগে পিস হিসাবে বিক্রি করতেন, এখন রোজা শুরু হওয়ার পর কেজি দরে বিক্রি করছেন কেন এমন প্রশ্নে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকেন তিনি। পরে বলেন, ‘সবাই বিক্রি করছে, তাই আমিও করছি।’

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাসুম রেজা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে উঠেছিল। এই উপজেলাতে তরমুজের দাম যাতে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়টি আমরা দেখব। কোনো সিন্ডিকেট করে লাভ হবে না। যারা বেশি মুনাফা লাভের আশায় সিন্ডিকেট করে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’