বাঁশের সাঁকো ব্যবহারে সেতু দিয়ে চলাচল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গোপালগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মিত সেতুতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার / ছবি: বার্তা২৪

নির্মিত সেতুতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার / ছবি: বার্তা২৪

পাঁচ বছর পূর্বে মাদারীপুরের লুন্দী এলাকায় একটি সেতু নির্মাণ হলেও ব্যবহারের অনুপযোগী। সেতুর এক পাশের রাস্তা সড়ক না থাকায়য় যাতায়াত এবং মালামাল পরিবহন করা যাচ্ছে না। ফলে দিনের পর দিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের।

এলাকাবাসী জানায়, নির্মিত সেতুর একপাশে পুকুর থাকায় মাটি ভরাটের অভাবে জনসাধারণ, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থীরা এটি ব্যবহার করতে পারছে না। নিরুপায় হয়ে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে সেতু দিয়ে চলাচল করছে এলাকাবাসী। ফলে তারা প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপারে ভয় পায়। দুর্ঘটনার ভয়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত স্কুলে যেতে পারছে না।

লুন্দী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, সেতু সংলগ্ন রাস্তা না থাকায় একদিকে যেমন রাজৈর থেকে মালামাল
পরিবহন করতে ব্যাবসায়ীদের অনেক দুর্ভোগে পড়তে হয়, অন্যদিকে পরিবহনে খরচও বেশি পড়ে যায়। রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ হলে সকলের যাতায়াতে সহজ হবে।

বিজ্ঞাপন

ইশিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফায়েজুর রহমান হিরু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘টেন্ডার হওয়ার পরও কাজে বিলম্ব হচ্ছে। দ্রুত যাতে রাস্তার কাজ শুরু হয় এ বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা করছি।’

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা প্রকৌশলী কাজী মাহমুদউল্লাহ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সেতুটি নির্মাণের সময় অ্যাপ্রোচ সড়কের বরাদ্দ ছিল না। আমরা ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করিয়েছি। টেন্ডার হয়ে গেছে। নোটিফিকেশন অব অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি হলেই দ্রুত কাজ শুরু হবে।’

রাস্তাটি দ্রুত নির্মাণ হলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়বে। জণসাধারণের যাতায়াতের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মালামাল পরিবহন সহজ হবে এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।