পাকা ধান নিয়ে চিন্তার ভাঁজ কৃষকের কপালে
গোপালগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে দাম কম হওয়ায় হাসি নেই কৃষকের মুখে। তাছাড়া ধান কাটার জন্য এ বছর রয়েছে শ্রমিক সংকট। ফলে সোনার ফসল নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে গোপালগঞ্জে ৭৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। জেলার অধিকাংশ জমির ধান পেকে গেলেও শ্রমিক সংকট এবং তাপদাহের কারণে ধান কাটা সম্ভব হচ্ছে না। তবে ফলন ভালো হলেও কম দামে বিক্রি হচ্ছে কৃষকদের কষ্টার্জিত ধান।
জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা জানান, এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ৪০-৫০ মণ ধান হয়েছে। কিন্তু বাজারে এখন ধানের দাম উৎপাদন খরচের থেকেও কম। তাছাড়া আগে গোপালগঞ্জে ধান কাটার মৌসুমে বাগেরহাট, ফরিদপুর, যশোর, সাতক্ষীরাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিকরা আসতেন এবং ধানের বিনিময়ে কাজ করতেন। কিন্তু ধানের স্বল্পমূল্যের কারণে অন্য জেলার শ্রমিকরা এ বছর আসেননি। সব মিলিয়ে পাকা ধান নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের।
গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হরলাল মধু বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ নিয়ে অধিকাংশ কৃষকরা এ বছর ব্রি-২৮ জাতের ধান চাষ করেছেন। এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।’
ধান কাটা প্রসঙ্গে তিনি জানান, বর্তমানে মিনি কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন বাজারে এসেছে। যা কৃষকরা সমিতির মাধ্যমে কিনতে পারেন। এতে শ্রমিক সংকটের যে সমস্যা, তা দূর হবে।