কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষকরা

  • ডিষ্ট্রিক করেসপন্ডেন্ট, পাবনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

কলেজ অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে শিক্ষকরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

পাবনার চাটমোহর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, হয়রানি, স্বেচ্ছাচারীতা ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে তার অপসারণ চেয়ে লিফলেট বিতরণ করেছে একই কলেজের সহকারী শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা এসব ঘুরে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে ওই কলেজের প্রায় ৫১ জন শিক্ষক অংশ নেন।

লিফলেটে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উত্থাপতি হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, স্বজনতোষণ, স্বেচ্ছাচারিতা, কলেজ মার্কেটের টাকাসহ কলেজের বিভিন্ন তহবিল থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কলেজ সরকারিকরণের পদ সৃজনের তথ্য ছক, প্রত্যয়নপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ না করাসহ তার অসহযোগিতার কথা উল্লেখ করে পাবনা জেলা প্রশাসক, চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও কলেজের সভাপতি সরকার অসীম কুমারের কাছে ওই কলেজের বিভিন্ন বিভাগের ৫১ জন শিক্ষক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনার জের ধরে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনা ঘটে। যার কারণে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে চাটমোহর থানায় অধ্যক্ষসহ মোট ১২ জনকে অভিযুক্ত করে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং-৫১১। এর পর অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানও তাদের বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং- ৫৪৩।

এর পর পরই কলেজের পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এদিকে এই জটিলতা নিরসনে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সোমবার (২০ মে) হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন।

বিজ্ঞাপন

চাটমোহর সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামাল মোস্তফা জানান, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের শ্রম ঘামে কলেজটি গড়ে উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কলেজটি জাতীয়করণের দ্বারপ্রান্তে এসেও তার কারণে ভেস্তে যেতে চলেছে। অধ্যক্ষ আমাদের নানাভাবে হেনস্তা করছেন। শেষ সময়ে এসে তার (অধ্যক্ষ) অনিয়ম ঢাকতে হাইকোর্টে গিয়ে রিট করেছেন। যা মোটেই কাম্য নয়। এতে শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠান হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে।

চলমান ঘটনার বিষয়ে জানতে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের মোবাইলে ফোন দিলেও কল ওয়েটিং পাওয়া যায়। পরে বার বার কল দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর আগেও তিনি সাংবাদিকদের ফোন রিসিভ করেননি।

তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরকার অসীম কুমার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কলেজটি সরকারিকরণের পর বিষয়টি নানাভাবেই আমার দৃষ্টিগোচরে এসেছে। ইতোমধ্যে কলেজে শিক্ষকদের মধ্যে গ্রুপিং দেখা দিয়েছে। খুব শীঘ্রই শান্তিপূর্ণ সমাধানে আসবে এমন দাবী ইউএনও অসীমের।