ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে বিপাকে মা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের লাখাই থানা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

হবিগঞ্জের লাখাই থানা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে ব্যবসায়ী আব্দুল হাকিম (২৬) হত্যা মামলার আট মাসেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। উল্টো আসামিদের হুমকি-ধামকি আর অব্যাহত হামলায় নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন নিহতের মা ও মামলার বাদী মোছা. আছমা বেগম।

বাদী পক্ষের ওপর আসামি পক্ষের হামলার ব্যাপারে লাখাই থানায় নিরাপত্তা ও হামলার প্রতিকার চেয়ে তিন দফায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন মামলার বাদী আছমা বেগম। এরপরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ করছেন আছমা বেগম।

বিজ্ঞাপন

মামলা সূত্রে জানা যায়, লাখাই উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার নামীয় জমি নিয়ে তার ছেলে মুশাহিদ মিয়ার সাথে বিরোধ চলছিল একই গ্রামের আশ্বব আলীর পুত্র তৌহিদ মহুরির। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় মাতব্বরা বিষয়টি নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন।

২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর সকালে মুশাহিদ মিয়ার ভাতিজা আব্দুল হাকিমকে রাস্তায় একা পেয়ে তৌহিদ সহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালান। প্রতিপক্ষের লোকজন আব্দুল হাকিমের পেটে টেটাঁবিদ্ধ করে গুরুতর জখম করেন। পরে তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর নিহতের মা মোছা. আছমা বেগম বাদী হয়ে ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে লাখাই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আছমা বেগমের অভিযোগ, মামলা দায়েরের পর আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেনি।

এদিকে, চলতি বছরের ১৯ মে মামলার আসামিরা হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন। তাদের জামিনের মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৯ জুন। বর্তমানে সকল আসামিই জামিনে রয়েছেন।

সূত্র জানায়, আসামিরা প্রথম থকেই বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এমনকি একাধিকবার বাদি পক্ষের ওপর হামলাও চালিয়েছে আসামি পক্ষের লোকজন। এ ব্যাপারে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে লাখাই থানায় পৃথক তিনটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন বাদী আছমা বেগম। এর মধ্যে প্রথম জিডি করেন ২০১৮ সালের ১৫ ডিসেম্বর, দ্বিতীয় জিডি করেন চলতি বছরের ২ মার্চ ও তৃতীয় জিডিটি করেন চলতি বছরের ৫ জুন।

আছমা বেগম বার্তা২৪.কম-কে জানান, জিডি করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েও পাচ্ছেন না। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে কোনো ধরনের কাজ করছে না। এমনকি থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলে উল্টো পুলিশ তাদেরকে গালিগালাজ করছে।’

তবে বিষয়টি অস্বীকার করেন লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন। বার্তা২৪.কম-কে তিনি বলেন, ‘বাদী পক্ষের লোকজন নিরাপত্তা চেয়ে তিনটি জিডি করেছে। পুলিশ জিডিগুলো তদন্ত করে দেখছে। সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’