দৌলতদিয়ায় পারাপারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় সহস্রাধিক যানবাহন। দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত দু্ই সারিতে নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে এসব যানবাহন। ঘাটে এসে দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে প্রচণ্ড গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
আর দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে নদী পারের জন্য সকাল থেকে অপেক্ষা করছে পণ্যবাহী ট্রাক। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাত্রীবাহী বাস ও ছোট যানবাহনগুলো পার করার কারণে অপেক্ষা করা ট্রাকগুলো কখন নদী পার হতে পারবে সেটা কেউ বলতে পারছে না।
তবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসি) বলছে হঠাৎ করে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ বেড়ে যাওয়ায় সন্ধ্যা থেকে কিছুটা চাপ রয়েছে ঘাটে। তবে এটা রাতেই ঠিক হয়ে যাবে বলছেন কর্তৃপক্ষ।
সাতক্ষীরা থেকে আসা যাত্রী হুমায়ুন কবির বার্তা২৪.কমকে জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলাম। ভেবেছিলাম ঈদের ছুটি শেষ হলে ঘাটে চাপ থাকবে তাই একটু দেরিতে ঢাকা যাচ্ছি। কিন্তু আমরাই বেশি ধরা খেয়েছি। আমার ছোট সন্তান মাত্র দেড় বছর বয়স। প্রচণ্ড গরমের কারণে ও খুব কান্না করছে। সেই বিকাল থেকে নদী পারের জন্য বসে আছি । এখনও ফেরির নাগাল পেলাম না। জানি না আজ রাতে নদী পার হতে পারবো কি না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিসির) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে জানান, হঠাৎ করে মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকালের পর থেকে ঘাটে পণ্যবাহী ট্রাকের চাপ কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় নদী পার হতে যানবাহনগুলোর একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাত্রীবাহী বাসগুলোকে নদী পার করার কারণে ট্রাকগুলোকে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তবে রাতের মধ্যেই সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশা করছি।
এ সময় তিনি বলেন, যানবাহন পারাপারের জন্য এই নৌ-রুটে বর্তমান ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। আর ৬টি ঘাটই চালু রয়েছে। শুধুমাত্র ৫ নং ঘাটের ১নং ডাউন পকেটটি বন্ধ রয়েছে।
দৌলতদিয়া ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজে নিয়োজিত ট্রাফিক ইন্সেপেক্টর আবুল হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, ঘাট এলাকায় এখন যে যানবাহনগুলো নদী পারের জন্য অপেক্ষা করছে সেগুলো যাতে সুশৃঙ্খল ও সুন্দরভাবে পার হতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করছি। আশা করছি, সবাই একটু ধৈর্য্য ধরলে সবাই সুন্দর মতো নদী পার হতে পারবে।