লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বাজেটের আনন্দ মিছিলে সংঘর্ষ, আহত ১০

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

হামলায় আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

হামলায় আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের আয়োজিত আনন্দ মিছিলে নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে রক্তাক্ত জখমসহ অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মিছিলে জুতায় পা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও ফাহাদ বিন কামাল মাহির অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের বাঁধে। বাবলু চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ও মাহি লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে সাংবাদিকদের উপস্থিতি দেখে মাথায় ক্ষত নিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু আহত অনুসারীদের নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শরীফের নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় পৌঁছলে জুতা পা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগ নেতা কাজী বাবলু ও মাহির অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

লক্ষ্মীপুরে ছাত্রলীগের বাজেটের আনন্দ মিছিলে সংঘর্ষ, আহত ১০

এতে কাজী বাবুল, সোহেল, রিয়াদ হোসেন, সাগর ও রিপনসহ ১০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। কয়েকজন নেতাকর্মী রক্তাক্ত জখমও হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মিছিলে জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ইবনে জিসাদ আল নাহিয়ান উপস্থিত ছিলেন।

জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও ফাহাদ বিন কামাল মাহি বলেন, 'বড় মিছিল হওয়ায় তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে। এতে সংঘর্ষ কিংবা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।' মাথায় কোন ক্ষত হয়নি বলেও জানিয়েছেন কাজী বাবলু।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন শরীফ বলেন, 'মিছিল শেষে সমাপনী বক্তব্য পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরে কোন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা আমি জানি না।'

লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মুসা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।