ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে রেলে
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে শাহবাজপুর সেতু ভেঙে যান চলাচল বন্ধ থাকায় চাপ বেড়েছে সংশ্লিষ্ট রেলপথে। এতে শুধু সড়কপথে যানজটের দুর্ভোগই নয়, দুর্ভোগ বেড়েছে রেল যাত্রীদেরও। আর অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষকে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের শাহবাজপুরে তিতাস নদীর উপর নির্মিত সেতু ভেঙে পড়ায় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত যানবাহনগুলোকে বিকল্প সড়ক হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল-নাসিরনগর এবং নাসিরনগর-রতনপুর সড়ক ব্যবহার করার জন্য নির্দেশ দেন। সেখানেও যানজট লেগে থাকায় যাত্রীরা বিকল্প হিসেবে রেলপথকে বেছে নিয়েছেন।
হবিগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাত্রীরা শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সেখানেও ব্যাপক দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। তবুও গন্তব্যস্থলে যেতে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন অনেক যাত্রী।
শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ রেল জংশনে গিয়ে দেখা যায়, হাজারো যাত্রী ঢাকাগামী পারাবত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন। অথচ ঐ ট্রেনে শায়েস্তাগঞ্জের জন্য টিকিট রয়েছে মাত্র ৩০টি। ট্রেন আসার সাথে সাথে যাত্রীরা কে কার আগে উঠবেন এ নিয়ে শুরু হয় হুলস্থুল। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে ঝুঁলেই রওয়ানা দেন অনেকে। আবার অনেক যাত্রী রাতের আঁধারেই ট্রেনের ছাদে উঠেছেন।
অন্য সময় সিলেট থেকে স্ট্যান্ডিং যাত্রী না আসলেও শুক্রবার সিলেট ও মৌলভীবাজারের স্ট্যান্ডিং যাত্রীতে ভরা ছিল ট্রেনের প্রতিটি বগি। ফলে হবিগঞ্জের যাত্রীদের অধিকাংশই ট্রেনের ছাদে উঠতে হয়েছে।
শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনের সহকারী মাস্টার গৌর প্রসাদ দাশ জানান, শুক্রবার সারাদিনে সিলেট থেকে ঢাকাগামী ট্রেন ছিল চারটি। সবগুলো ট্রেন মিলিয়ে ঐ স্টেশন থেকে টিকিট বরাদ্দ রয়েছে মাত্র ১৯০টি। অথচ সারাদিনে যাত্রী উঠেছেন কমপক্ষে দুই হাজার।
তিনি বলেন- ‘শুক্রবার সারাদিনে শুধুমাত্র স্ট্যান্ডিং টিকিটই বিক্রি হয়েছে প্রায় দুই লাখ টাকার। যা অন্যান্য সময় পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।’
শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশের পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকায় শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে চাপ ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে রেলওয়ে পুলিশ। অতিরিক্ত চাপ থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।’