রিফাত হত্যাকাণ্ড
৩৩ ঘণ্টায় ২০ স্থানে অভিযান, মেলেনি নয়নকে
![রিফাত হত্যার খুনি নয়ন, ছবি: সংগৃহীত](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2019/Jun/27/1561638739503.jpg)
রিফাত হত্যার খুনি নয়ন, ছবি: সংগৃহীত
বরগুনায় চাঞ্চল্যকর রিফাত হত্যার ৩৩ ঘণ্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহমেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এখন পর্যন্ত এই ইস্যুতে ২০ জায়গায় অভিযান চালালেও শুধু মাত্র মামলার চার নম্বর আসামিকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়েছে পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা গেছে, গ্রেফতার চন্দন মামলার চার নম্বর আসামি।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, এ পর্যন্ত দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বলছে, গতকাল দুপুর থেকে আসামিদের গ্রেফতার করতে এখন পর্যন্ত অর্থাৎ ৩৩ ঘণ্টায় সম্ভব ২০ জায়গাতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। তবুও খোঁজ মেলেনি প্রধান আসামি নয়নসহ তার সহযোগীদের। অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে।
বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন ও সদর থানার ওসি আবির হোসেন মাহমুদ বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বরগুনা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন বলেন, 'আমরা আসামিদের গ্রেফতার করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গতকাল দুপুর থেকে টানা অভিযান অব্যাহত রেখেছি। গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছি। যেহেতু একজনকে গ্রেফতার করেছি। সেই সূত্র ধরেই এগিয়ে যাচ্ছি।'
একই বিষয়ে বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির হোসেন মাহমুদ বলেন, 'সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে খুনিদেরকে শনাক্ত করেছি। তারপর থেকে অভিযান চলছে। ইতোমধ্যে ২০ জায়গারও বেশি স্থানে অভিযান চালিয়েছি। শীঘ্রই অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারব।'
কোনোভাবেই যেন আসামিরা শহর ছেড়ে পালাতে না পারে, সেজন্য গতকাল রাত থেকেই শহরের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা গুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
অন্যদিকে আসামিরা যাতে দেশ ত্যাগ করতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
উল্লেখ্য, প্রকাশ্য দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটে স্ত্রীর সামনে শাহ নেয়াজ রিফাত শরীফ (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
বুধবার (২৬ জুন) নিহত রিফাতের বাবা ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত পাঁচ থেকে ছয় জনকে আসামি করে বরগুনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।