দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় শত শত ট্রাক
বৈরী আবহাওয়া আর ফেরি স্বল্পতার কারণে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে চার শতাধিক ট্রাক। তবে ঘাটে কোনো বাস কিংবা ছোট গাড়ির চাপ নেই।
পদ্মা পারের জন্য সারা রাত টার্মিনাল এবং সড়কেই নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ট্রাকচালক ও তাদের সহযোগীরা। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও ফেরির দেখা না মেলায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
দৌলতদিয়ায় ট্রাকের চাপ থাকলেও অপরপ্রান্ত মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে কোনো ধরনের যানবাহনের চাপ নেই। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল পর্যন্ত দেখা গেছে, ঘাটে আসার পরই যানবাহনগুলো অল্প সময়ের মধ্যেই নদী পার হতে পারছে।
কিন্তু দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার ট্রাকের দীর্ঘ সারি রয়েছে। তাছাড়া বাস টার্মিনালেও নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে ৭০-৮০টি ট্রাক।
যশোরের বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকচালক মো. শরিফ হোসেন বার্তা২৪.কমকে জানান, যশোর থেকে এসে এখানে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) রাত ৮টার দিকে এসে পৌঁছিয়েছি; এখন পর্যন্ত ফেরির নাগাল পেলাম না। কখন পাব, তাও অনিশ্চিত। কারণ এখনো আমি ফেরি ঘাট থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছি। আমার আগে এখনো প্রায় দেড় শতাধিক ট্রাক নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে।
দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে অপেক্ষা করা ট্রাকচালকের সহযোগী আব্দুল লতিফ বার্তা২৪.কমকে জানান, বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় সড়ক থেকে টার্মিনালে এসেছি। শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে নদী পারের টিকিট হাতে পেয়েছি। টিকিট হাতে পাওয়ার পরও ফেরির নাগাল পেতে আরো ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যাবে।
‘কবে যে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাব, তা আল্লাহ ভালো জানেন। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদী পারের জন্য ঘাটে বসে থাকলে আমাদের পেট চলবে কীভাবে?’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন দৌলতদিয়া ঘাটের শাখা ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বার্তা২৪.কমকে জানান, বৃহস্পতিবার বৈরি আবহাওয়ার কারণে দুই ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। এর ফলে মূলত ঘাটে একটু ট্রাকের বাড়তি চাপ রয়েছে। তবে ঘাটে বাস ও ছোট গাড়ির কোনো চাপ নেই। আমরা আশা করছি, বিকালের মধ্যে ট্রাকের চাপও কমে যাবে।
তিনি জানান, বর্তমানে ২০টি ফেরির মধ্যে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। বাকি চারটি ফেরি মেরামতের জন্য কারখানায় রয়েছে।