নবাবগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন
ঢাকার নবাবগঞ্জের কৈলাইল ও তেলেঙ্গা এলাকায় শ্যালো মেশিন দিয়ে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা কৈলাইল গ্রামের বাসিন্দা শহীদ। ফলে অফসলি জমি, বসতবাড়িসহ সড়ক ধসে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, বালু উত্তোলন বন্ধ করতে দোহার নবাবগঞ্জের সংসদ সদস্য সালমান এফ রহমান নির্দেশনা দিলেও তা মানছে না সিন্ডিকেট। ফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করায় লাখ লাখ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর অভিযোগ করা হলেও নীরব ভূমিকায় প্রশাসন।
বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী- পাম্প, খননযন্ত্র (ড্রেজিং) বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কিন্তু নবাবগঞ্জ এলাকায় পুকুরে শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অভিযোগ আছে, কৈলাইল গ্রামের শহিদ স্থানীয় দরিদ্র কৃষকদের কাছ থেকে অল্প দামে জমি কিনে সেখানে পুকুর খনন করে মেশিন বসিয়ে বালু ও মাটি বিক্রি করছে।
কৈলাইল গ্রামের বাসিন্দা কুতব আলী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সরকারি দলের কর্মী পরিচয় দিয়ে ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শহীদ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে। তার সাথে কয়েকজন রাজনৈতিক নেতাও রয়েছে।’
কৈলাইল তেলেঙ্গা গ্রামের কলেজ ছাত্র রাশেদ হাসান জানান, দীর্ঘদিন ধরে শহীদ বিভিন্ন কৌশলে মাটি ও বালু বিক্রি করে আসছে। ফলে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে এবং কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও বালু উত্তোলন থামছে না। তবে মাঝে মাঝে যন্ত্রপাতি জব্দ ও জরিমানা করা হচ্ছে।
বালু বিক্রি ও উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠোফোনে শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘আপনারা তো সবই জানেন। আমাকে জিজ্ঞেস করেন কেন? আমরা অল্প কয়েকদিন ধরে বালু উত্তোলন শুরু করেছি। এখন ব্যবসার অবস্থা ভালো না।’
পরিবেশের ক্ষতি করে কিভাবে অবৈধ বালু ব্যবসা করেন- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে তিনি সংযোগটি কেটে দেন।
নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এইচ এম সালাউদ্দিন মঞ্জু বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমার জানা নেই। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’