ধূমপানে বাধা দেওয়ায় ডাক্তারকে পেটালেন এসিল্যান্ড!

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একজন চিকিৎসক হিসেবে তিনি প্রকাশ্যে ধূমপান না করার অনুরোধ করেছিলেন। বাধা দিয়েছিলেন ধূমপায়ীকে। ফল হলো উল্টো। মার খেলেন চিকিৎসক। জনমনে ঘটনাটি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

দুজনেই সমাজের প্রথম শ্রেণির নাগরিক। একজন চিকিৎসক। অন্যজন সরকারি কর্মকর্তা। গত ২১ জুন সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলস্টেশনে এই ঘটনাটি ঘটে।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ করা হয়েছে, ধূমপানে নিষেধকারীর ওপর চড়াও হয়ে তাকে লাঞ্ছিত করেছেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুনজিত কুমার চন্দ। এমনকি অনুরোধকারী একজন চিকিৎসক হওয়ার পরও তাকে মারধর পর্যন্ত করা হয়।

ডাক্তারকে পেটালেন এসিল্যান্ড

বিজ্ঞাপন

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরগঞ্জস্থ প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের লেকচারার ডা. মো. রাফিউল সিরাজ গত ২৪ জুন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এই অভিযোগের অনুলিপি কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারকেও দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের প্যাথলজি বিভাগের লেকচারার ডা. মো. রাফিউল সিরাজ জানান, গত ২১ জুন তিনি বন্ধুর বিবাহ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে সিলেট যাচ্ছিলেন। হবিগঞ্জ জেলার মনতলা রেলস্টেশনে যখন ট্রেনটি থামে তখন একজন ব্যক্তি জ্বলন্ত সিগারেট নিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ান।

ডাক্তারকে পেটালেন এসিল্যান্ড

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে সিগারেটের ধোঁয়া এক অসহনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করায় তিনি ওই ব্যক্তিকে ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ জানান।

রাফিউল সিরাজ অভিযোগ করেন, ধূমপান না করার জন্য অনুরোধ করায় ধূমপায়ী ব্যক্তিটি ক্ষিপ্ত হয়ে সামনের স্টেশনে গিয়ে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ সময় নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিলেও ধূমপায়ী ব্যক্তিটি তাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যও করেন।

পরে ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জ স্টেশনে থামার পর ওই ব্যক্তির ডাকে আসা লোকজন তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে থানার ওসি শফিকুল ইসলামের হস্তক্ষেপে তিনি কোনরকমে রেহাই পান।

এ ঘটনার পর রাফিউল সিরাজ শায়েস্তাগঞ্জ থানায় গিয়ে জানতে পারেন, ধূমপায়ী ব্যক্তিটির নাম সুনজিত কুমার চন্দ। সুনজিত কুমার চন্দ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।

ফলে ডাক্তার জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন পর্যায়ে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও প্রতিকার দাবি করেন।