শিক্ষা অফিসের গাফিলতি, বেতন পাননি ১৭৭ স্কুলের শিক্ষক

  • উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের লগো

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের লগো

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার ১৭৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকরা জুন মাসের বেতন পাননি। বেতন না পাওয়ায় শিক্ষকরা অর্থ সঙ্কটে পড়েছেন। তাদের মাঝে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ।

শিক্ষকদের অভিযোগ, আশেপাশের উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জুলাই মাসের শুরুতেই তাদের বেতন পেয়েছেন। কিন্তু শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারণে আমাদের বেতন বঞ্চিত হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছি।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ জুলাই) বিকালে শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী বাছির উদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, 'আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আধাঘণ্টার মধ্যে বেতন শিক্ষকদের অ্যাকাউন্টে যোগ হবে।' 

এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জুয়েল বলেন, 'আমরা শিক্ষকদের বেতনের চাহিদা পাঠিয়েছি। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বাজেট ঘাটতি থাকায় বেতন হয়নি।' 

বিজ্ঞাপন

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ১৭৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে প্রায় ৯ শতাধিক শিক্ষক কর্মরত আছেন। বছরের প্রতি মাসের ২/৩ তারিখের মধ্যে শিক্ষকদের বেতন তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে যোগ হয়। কিন্তু জুলাই মাসের ৮ তারিখ হয়ে গেলেও শিক্ষকদের জুন মাসের বেতন তাদের অ্যাকাউন্টে যোগ  হয়নি।

চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসরিন বিনতে সুলতানা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম'কে বলেন, শিক্ষা অফিস এখন আর শিক্ষকদের ভালো-মন্দ নিয়ে ভাবে না। শিক্ষা অফিসে কর্মরত আমাদের স্যাররা ঠিকই বেতন পেয়েছেন। কিন্ত আমরা বেতন পাইনি। এখন আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

শালিহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফজলে এলাহী বিপুল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম'কে বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে সঠিক সময়ে শিক্ষকদের বেতনের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে না পাঠানোয় আমরা বেতন বঞ্চিত হয়েছি। বেতনের টাকা দিয়েই আমাদের সংসার চলে। কিন্ত এখন টানাটানি করে চলতে হচ্ছে।