পাবনায় যত্রতত্র গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি!
পাবনায় জ্বালানি তেল বিক্রির দোকান, মুদি দোকান, সাইকেল মেকারের দোকান, ভুষির দোকান, হার্ডওয়্যারের দোকানসহ যত্রতত্র বিক্রি হচ্ছে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার। যদিও এসব দোকানের সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রির কোনো অনুমোদন বা লাইসেন্স নেই। ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আবাসিক খাতে গ্যাস ব্যবহারের বিষয়ে বিস্ফোরক পরিদফতরের নীতিমালা রয়েছে। তবে সে নীতিমালার তোয়াক্কা করছেন না ব্যবসায়ী ও গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো। বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে জ্বালানি হিসাবে এসব গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহাত হচ্ছে। চাহিদা বেশি থাকার কতিপয় ব্যবসায়ী যততত্র এই সিলিন্ডার বিক্রি করছেন।
পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ রোড, বড় বাজার, রাধানগর, গাছপাড়া, মালিগাছা, মনোহরপুর, টেবুনিয়া, সীড গোডাউন, কালিকাপুর, দাশুড়িয়া, দেবোত্তর, আটঘরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। এসব এলাকার দোকানের ভেতরে সিলিন্ডার মজুদ রাখা হয়েছে।
কয়েকজন সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবসায়ী জানান, ভালো মানের সিলিন্ডার নিয়ে আসি। ঝুঁকিমুক্ত তাই বিক্রি করছি। তাছাড়া প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আমাদের কোনও বাঁধা দেওয়া হয়নি।
এলাকার সচেতন নাগরিকরা জানান, বিধিমালা অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া আটটি গ্যাসপূর্ণ সিলিন্ডার মজুদ করা বা বিক্রি করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র মজুদ রাখতে হবে। স্থাপনা প্রাঙ্গণে দিয়াশলাই বা আগুন লাগতে পারে এমন কোনো বস্তু বা সরঞ্জাম রাখা যাবে না। মজুদ করা স্থানের কাছাকাছি আলো বা তাপের উৎস থাকা যাবে না। তবে এসব আইনের তোয়াক্কা না করে যততত্র লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে।
বিস্ফোরক পরিদফর সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলায় বিস্ফোরক পরিদফতর কর্তৃক এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির জন্য লাইসেন্স ছিল ২০২ জনের। এর মধ্যে নবায়ন না করায় ৪৮টি লাইন্সেস বাতিল করা হয়েছে। বর্তমানে ১৫৪ জনের লাইসেন্স রয়েছে। অন্যদিকে ৪৯ জন লাইসেন্সের জন্য আবেদ করেছেন, যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঝুঁকিপূর্ণভাবে শহরের প্রধান সড়ক দিয়ে ট্রাকযোগে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এসব সিলিন্ডার। পরে ট্রাক থেকে এসব সিলিন্ডার ছুঁড়ে নিচে নামানো হয়। এতে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তবে লাইসেন্সবিহীন এলপিজি গ্যাস বিক্রি বন্ধে পাবনার বেড়া, সাঁথিয়া, আমিনপুর থানা গ্যাস ডিলার মালিক সমিতির পক্ষে রাজশাহী-রংপুর বিভাগের বিস্ফোরক পরিদর্শক বরাবর অভিযোগ করা হয়েছে।
রাজশাহী-রংপুর বিভাগের বিস্ফোরক পরিদর্শক ড. আসাদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। ইতোমধ্যে পাবনার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। খুব শিগগিরই অবৈধভাবে এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।’