পানি ঢুকছে ‘বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর পানি কমতে শুরু করলেও কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বাঁধ উপচে এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্র 'বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট'-এ পানি প্রবেশ করছে।

শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে কুশিয়ারা নদীর পানি হবিগঞ্জ অংশে বিপদসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি আরও বাড়তে পারে বলে দাবি পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, প্লান্টের ভেতরে পানি প্রবেশ করায় অনেক যন্ত্রাংশ ইতোমধ্যে পানিতে ডুবে গেছে। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কোন ধরণের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি পাওয়ার প্লান্ট কর্মকর্তাদের। যদি বন্যার কারণে বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকে তাহলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্টের (বিপিডিবি) ইঞ্জিনিয়ার সজল বলেন, ‘পাওয়ার প্লান্টের ভেতরে একটু একটু করে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এতে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে। তবে মূল উৎপাদন কেন্দ্রে পানি উঠার সম্ভাবনা নেই। কারণ মূল উৎপাদন কেন্দ্রটি পাওয়ার প্লান্টের ভূমি থেকে অনেক ওপরে।’

বিজ্ঞাপন
 হবিগঞ্জ বিবিয়ানা পাওয়ার প্লান্ট
ভাঙন ঠেকাতে ও পানি প্রবেশ বন্ধ করতে বালির বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

 

তিনি আরও বলেন, ‘মূল উৎপাদন কেন্দ্রটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সমতল। সুতরাং মহাসড়ক ডুবলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হবে। এছাড়া সাময়িক সমস্যা হতে পারে, কিন্তু উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।’

ঝুঁকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইক-এ ভাঙন ঠেকাতে ও পানি প্রবেশ বন্ধ করতে বালির বস্তা ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

হবিগঞ্জ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ৪৭ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঝুঁকিপূর্ণ ‘কুশিয়ারা ডাইক’ মেরামতের জন্য আমাদের লোকজন কাজ করছে। ভাঙন রোধে সেখানে বস্তা ফেলার কাজ চলছে।’