বন্যার কারণে বগুড়ায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

  • গনেশ দাস, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা টোয়েন্টিফোর.কম,বগুড়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বন্যার কারণে বগুড়ায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বন্যার কারণে বগুড়ায় অর্ধ শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ/ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট বন্যার কারণে বগুড়ার তিন উপজেলার অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) থেকে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম চালু রাখা সম্ভব না হওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বন্ধ ঘোষিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেশী।

আগামী ১ আগস্ট থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২য় সাময়িক পরীক্ষা শুরু হবে। বন্যার পানি নেমে গেলে ১ আগস্টের আগেই বন্ধ ঘোষিত বিদ্যালয়গুলো খুলে দেওয়া হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

বগুড়া জেলার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি কারণে বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পানি ঢুকে পড়ার পাশাপাশি রাস্তা ডুবে গেছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারছেন না। সারিয়াকান্দি চরের স্কুল শিক্ষক ফজলুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর. কমকে বলেন শিক্ষকরা কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানে গেলেও ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে পারছেনা। এছাড়া পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয়ে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ছাত্র-ছাত্রী শূন্য হয়ে পড়েছে।

যমুনার চরাঞ্চলের বাসিন্দারা জানান, নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে রাস্তা ডুবে গেছে। চলাচলের একমাত্র মাধ্যম এখন নৌকা। এছাড়াও মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বন্যার কারণে। এমন অবস্থায় তারা সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন না।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, সারিয়াকান্দি উপজেলাতেই ৪০ টির মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়াও বন্যার কারণে সোনাতলা ও ধুনট উপজেলায় আরো বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান করা যাচ্ছে না ।

বগুড়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বেগম তহমিনা খাতুন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন রোববার (১৪ জুলাই) পর্যন্ত তিন উপজেলায়  ৫০ টি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আরো ৪টি বিদ্যালয়ে বিকল্প উপায়ে পাঠদান চালু রাখা হয়েছে।