হু হু করে বাড়ছে যমুনার পানি
অব্যাহতভাবে যমুনার পানি বাড়তে থাকায় বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৮২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রোববার যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
সোমবার বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, পানিবন্দি মানুষ আর গবাদি পশু এক জায়গায় গাদাগাদি করে বসবাস করছে। মাঠের পর মাঠ ফসলি জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। রান্না করার জায়গা না থাকায় লোকজন শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন।
এ দিন বিকেলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে বগুড়ার জেলা প্রশাসক। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রায়হানা ইসলাম বলেন, নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ অক্ষত আছে। জেলা প্রশাসন বন্যা কবলিত এলাকায় সার্বক্ষণিক নজরদারি করছে।
এ দিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার বন্যা কবলিত এলাকায় ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১৪২ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫০০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ১০ লাখ টাকা এবং ১০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা পাঠানো হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরে।
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলায় বন্যা দেখা দেয়। বন্যায় তিন উপজেলার সাড়ে ৫শ’ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।