নারায়ণগঞ্জে পৃথক স্থান থেকে ৪ মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জের চার উপজেলায় পৃথক চার ঘটনায় চারজনের মরদেহ উদ্ধার করছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে জেলার ফতুল্লা, আড়াইহাজার, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে মরদেহ চারটি উদ্ধার করে পুলিশ।
সকালে আড়াইহাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মারওয়ার্দী গ্রামের সুরুজ মিয়া (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষের লোকজন পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত সুরুজ মিয়া একই এলাকার মৃত আহেদ আলীর ছেলে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষ আবুল হোসেন গংরা সুরুজ মিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অন্যদিকে সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মতিন সড়ক এলাকায় কয়েল কারখানার পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি মতিন সড়ক এলাকার কয়েল কারখানার পাশের রাস্তায় মরদেহটি দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ সকাল সাড়ে ৮টায় ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবকের পরিচয় এখনও শনাক্ত করা যায়নি। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর হবে। লাশের ডান হাতের বৃদ্ধা আঙুলের নখ উপড়ানো রয়েছে। এবং বাম হাতের কব্জির ওপরে ও নিচে দুটি কামড়ের দাগ আছে।
এদিকে বন্দর উপজেলায় কাইতাখালি এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জের ও টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত ঘটনায় মিশর (২৫) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই) দিনগত রাত ২টার দিকে ৫ জনের একটি দল তাকে হত্যা করে।
মিশর উপজেলার কাইতাখালি এলাকার মৃত টুক্কি শিকদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন বিদেশ ছিলেন। সম্প্রতি দেশে ফিরে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন।
বন্দর থানার ওসি (তদন্ত) আজহারুল ইসলাম জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ও টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে মিশর নামের যুবককে হত্যা করা হয়েছে বলে পরিবারের অভিযোগ। এ ঘটনায় তিনজনে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ফতুল্লার লালখা এলাকায় শেফালী বেগম (৪২) নামে এক নারীর মরদেহহ উদ্ধার করা হয়েছে। শেফালী একই এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের মেয়ে।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) হাসানুজ্জামান জানান, পরিবারের অভিযোগ তার মৃগী রোগ ছিল, সে পড়ে গিয়ে নিহত হয়েছে। তবে ঘটনাটি রহস্যজনক হওয়ায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।