সিরাজগঞ্জে কমছে পানি, বাড়ছে ভাঙন

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে কমতে শুরু করলেও ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তীব্র স্রোতের কারণে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে এনায়েতপুর থানার বেতিল স্পার বাঁধ-১ এর প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। এ কারণে বাঁধ সংলগ্ন সিরাজগঞ্জ ভেটেরিনারি কলেজ ও মৎস্য ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটসহ বহু তাঁত কারখানা ও অসংখ্য ঘর-বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।

এছাড়াও এনায়েতপুর ব্রাহ্মণ গ্রামে গত তিনদিনে ভাঙনে প্রায় ১০-১২টি বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। তীব্র স্রোতের কারণে চৌহালীর খাসকাউলিয়াসহ যমুনার কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে, পানি নেমে যাওয়ায় বন্যার্তরা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে বন্যায় বসতভিটা ভেঙে যাওয়ায় তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

জানা গেছে, এবার জেলায় প্রায় ৫০ হাজার বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ২২ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ১০ হাজারের অধিক তাঁত নষ্ট হয়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

আর পানিবাহিতসহ নানা রোগে ভুগছে বন্যা কবলিতরা। আয় রোজগার না থাকায় শিশু খাদ্য নিয়েও চরম কষ্টে রয়েছে পরিবারগুলো। এ অবস্থায় বন্যা কবলিতরা বসতভিটা ও ফসলের ক্ষতিপূরণসহ ওষুধ ও শুকনা খাবারের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, যমুনা নদীতে পানি কমতে শুরু করায় প্রবল স্রোতের কারণে বেতিল স্পার বাঁধ-১ এর প্রায় ৫০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। ওই স্থানে জিও ব্যাগ ফেলে বাঁধ সংস্কার কাজ চলছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুম আহম্মেদ জানান, ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হবে।