১১ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষকের ৫ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় দারুল হুদা মহিলা মাদরাসায় ১১ ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মাদরাসার ‘বড় হুজুর’ মোস্তাফিজুর রহমানকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার আলম এ আদেশ দেন।
এর আগে ২৮ জুলাই ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে মোস্তাফিজুর রহমানকে আদালতে পাঠায় র্যাব। মঙ্গলবার শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
র্যাব-১১ এর এএসপি আলেপ উদ্দিন জানান, অভিযুক্ত মো. মোস্তাফিজুর রহমান দারুল হুদা মহিলা মাদরাসার ১১ জন ছাত্রীকে বিগত ৩ বছর ধরে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা ও যৌন হয়রানি করে আসছে। এ সব অপকর্মের পর ছাত্রীরা মুখ খোলার চেষ্টা করলে তাদের বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে মাদরাসা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এভাবে ওই মাদরাসা শিক্ষক বিভিন্ন বয়সী মাদরাসার ছাত্রীদের নানান প্রলোভনসহ অপকৌশলে ধর্ষণ করতেন।
আলেপ উদ্দিন আরও জানান, মোস্তাফিজুর রহমান ছাত্রীদের কখনও আখেরাতের ভয় দেখিয়ে, কখনও হুজুরের কথা শোনা ফরজ না শুনলে গোনাহ হবে এবং জাহান্নামে যাবে—এমন ফতোয়ার মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করত। তাবিজ করে পাগল করা বা পরিবারের ক্ষতি করার কথা বলেও ভয়ভীতি দেখাত মোস্তাফিজুর। এমনকি তার ৮ বছর বয়সী নিকট আত্মীয় যে তার মাদ্রাসায় পড়ত তাকেও একাধিকবার ধর্ষণ করেছে বলে ভিকটিমের মা-বাবা অভিযোগ করেছেন, যা ধর্ষক মোস্তাফিজ অকপটে স্বীকার করেছে।
মোস্তাফিজ বিভিন্ন জাল হাদিস তৈরি করে হুজুরের সঙ্গে সর্ম্পক করা জায়েজ আছে বলে ছাত্রীদের বোঝাত। জাল হাদিসের মাধ্যমে অভিভাবক ও সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় বলে একাধিক ছাত্রীকে কৌশলে ধর্ষণ ও আরেকটি জাল হাদিসের মাধ্যমে তালাক হয়ে গেছে বলে ফতোয়া দিত।
গত শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় দারুল হুদা মহিলা মাদরাসায় চার ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ‘বড় হুজুর’ খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমানকে আটক করে র্যাব-১১।