বেতন না দিলে গার্মেন্টস মালিককে ধরে নিয়ে আসবেন সেলিম ওসমান
নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান বলেছেন, ‘ঈদের আগে যদি কোনো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে গড়িমসি করে, তাহলে জানাবেন। ফ্যাক্টরির ভেতর উত্তেজনার আশঙ্কা থাকলেও রিপোর্টে উল্লেখ করবেন। আমার চারটা গাড়ি প্রস্তুত আছে, শুধু অভিযোগ করবেন গাড়ি গিয়ে মালিককে ধরে নিয়ে আসবে।’
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে আঞ্চলিক ক্রাইসিস প্রতিরোধ কমিটির সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় ঈদের পূর্বে বিভিন্ন গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সমস্যা নিয়ে শ্রমিক প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা হয়।
সভায় উপস্থিত কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে সেলিম ওসমান বলেন, ‘অবৈধ লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠান যদি চলতেই থাকে আর আপনারা চুপচাপ বসে থাকেন, তাহলে আমাদের মরণ ছাড়া গতি নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের নেই ফায়ার সেফটি, নেই ইটিপি প্লান্ট। সেখানে দুর্ঘটনা ঘটলে আপনি কাকে দোষ দেবেন?’
তিনি বলেন, ‘সরকারি দুইটি প্রতিষ্ঠান নারায়ণগঞ্জে এনে খাল কেটে কুমির এনেছি। একটা হচ্ছে পরিবেশ অধিদফতর আরেকটি হচ্ছে কলকারখানা পরিদর্শন অধিদফতর। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছি সমস্যা এখানে, তাও আপনারা বসে থাকেন।
‘এক থেকে দেড় লাখ মানুষ অবৈধ কারখানায় কাজ করছে। আর এতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটে গেলে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে। প্রথমে ধরবে ডিসিকে, এর পরে ধরবে সেলিম ওসমানকে। আপনারা তো দায়সারা বক্তব্য দিয়ে বলবেন, ঊর্ধ্বতন মহলের নির্দেশ অনুযায়ী অ্যাকশনে যাইনি।’
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কল-কারখানা পরিদর্শন অধিদফতরের উপ-মহাপরিদর্শক সৌমেন বড়ুয়া, জেলা পুলিশের এএসপি নূরে আলম, সদর উপজেলা ইউএনও নাহিদা বারিক, বিকেএমইএ-এর সহ-সভাপতি হাতেম আলী, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল, শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ, কাউসার আহমেদ পলাশ সহ প্রমুখ।