বন্যায় সিরাজগঞ্জে ৮৫ হাজার ৫৫০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত
মাত্র তিন সপ্তাহের বন্যা ও নদীভাঙনে সিরাজগঞ্জের ৪০৮ গ্রামের ৮৫ হাজার ৫৫০টি পরিবার বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৭৯ পরিবার সম্পূর্ণ ও ৮২ হাজার ৪৭১টি পরিবার আংশিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জেলার কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুরসহ ৫টি উপজেলার ৪১টি ইউনিয়ন বন্যা কবলিত হয়ে পড়ে। দু’দফা বন্যায় ১৫ হাজার ৪৩৪ জন সম্পূর্ণ ও ৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৯৭ জন মানুষ আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে মারা গেছে ৫ জন। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা মোট ৫০ হাজার ৫১৮টি। এর মধ্যে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৬ হাজার ৫০৫ এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪ হাজার ১৩টি।
বন্যার পানিতে ডুবে ও বিভিন্ন রোগে মারা গেছে ৪টি গবাদি পশু ও ৩ হাজার ৮৮৫টি হাঁস-মুরগি। ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে, আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরও ২৫৬টি শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। প্রায় ৫৬ কিলোমিটার পাকা ও কাঁচা সড়ক সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। আংশিক নষ্ট হয়েছে আরও ১৮০ কিলোমিটার সড়ক।
অধিকাংশ কাঁচা ও পাকা রাস্তা এখনো বন্যার পানিতে নিমজ্জিত। এসব সড়কের ২৯টি ব্রিজ ও কালভার্টও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও জেলার ২১ হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে ডুবে যায়। প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলায় প্রায় ১৪৩ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও জেলার প্রায় দশ হাজার তাঁত নষ্ট হয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, যমুনার পানি কমতে শুরু করায় বন্যার পানি বসতভিটা থেকে নামতে শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের পুনর্বাসনের জন্য সরকারের কাছে আবেদনের প্রক্রিয়া চলছে।