যমুনায় বিলীন হচ্ছে বসতভিটা
যমুনা নদীর করাল গ্রাসে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও ফসলি জমি। বাপ-দাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন শত শত মানুষ। মাত্র তিন সপ্তাহের বন্যায় প্রায় দুই শতাধিক বসতভিটা এবং বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি হারিয়ে গেছে যমুনার পেটে। প্রতিদিনই যমুনা গিলছে বসতভিটাসহ ফসলি জমি।
গত শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতেই চৌহালী উপজেলার খাসপুকুরিয়া এলাকায় নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে ৭-৮টি বসতভিটা। এর আগে এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণ ও আড়কান্দিতে অন্তত ১০টি বসতভিটা বিলীন হয়ে যায়। সবকিছু হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা অসহায় দিনযাপন করছেন। গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভেঙে যাওয়ায় অঙ্কুরেই ঝরে পড়ছে অনেক শিক্ষার্থী।
বন্যায় দীর্ঘ দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে বসতিভটা পানিতে ডুবে থাকায় ঘরের খুঁটি-বেড়া ও আসবাবপত্র নষ্ট হওয়ায় চরম ক্ষতির শিকার হয়েছে বন্যা কবলিতরা। প্রবল স্রোতের কারণে ঘর হেলে পড়েছে। কাজকর্ম ও অর্থ না থাকায় সেইসব ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারছেন না তারা।
এছাড়াও তাঁত কারখানাগুলো নষ্ট হওয়ায় শত শত শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। আর ফসল নষ্ট হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়ছেন কৃষকরা। জেলায় প্রায় ১৪৩ কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, চৌহালীর দুই কিলোমিটার অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। আপাতত ১১২ মিটার এলাকায় জরুরি কাজ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রম অর্থ বরাদ্দ পেলে পুরো অংশে কাজ শুরু করা হবে।
সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। কাজ শেষে মন্ত্রণালয়ে ক্ষতিপূরণের আবেদন জানানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে যদি বরাদ্দ দেওয়া হয় তবে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে তার বিতরণ করা হবে।