পুলিশ দেখে নদীতে লাফিয়ে নিখোঁজ আ’লীগ নেতা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মাগুরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মাগুরা/ ছবি: সংগৃহীত

মাগুরা/ ছবি: সংগৃহীত

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আমিরুল ইসলাম (পুলিশ বাদী মামলার আসামি) নামের এক ব্যক্তি নদীতে লাফিয়ে পড়েন। বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত নিখোঁজ তাকে পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ আমিরুল ইসলাম শ্রীকোল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি।

জানা যায়, মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ডিবি পরিদর্শক নাসিরের নেতৃতে একদল পুলিশ শ্রীকোল বাজারে যায়। এ সময় আমিরুল ইসলাম চায়ের দোকানে বসে ছিলেন। পুলিশ দেখে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পার্শ্ববর্তী কুমার নদীতে লাফ দেন। লাফ দেওয়ার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। বিক্ষুব্ধ জনতা তখন পুলিশের উপর হামলা চালায় ।

বিজ্ঞাপন

সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি চালিয়ে আমিরুলের কোনো খোঁজ পায়নি। শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার অধির কুমার বলেন, ‘এলাকাবাসীর সহায়তায় বেড়জাল টানা হয়েছে। স্থানীয় ডুবুরি না থাকায় খুলনায় খবর দেওয়া হয়েছে।’

শ্রীকোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুতাসিম বিল্লাহ সংগ্রাম জানান, গত ১০ জুন স্থানীয় আওয়ামী লীগের অন্তঃকোন্দলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গেলে পুলিশের উপর হামলা চালান নেতাকর্মীরা। পুলিশ বাদী হয়ে ২১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে। আমিরুল ঐ মামলার একজন আসামি।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বিবাদমান গ্রুপের নেতা হাফিজার মাস্টার বলেন, ‘পুলিশ শুধু ধাওয়া করেনি, ওসি ওলিয়ার রহমান ও কনস্টেবল প্রদীপ নৌকা নিয়ে নদীতে নেমে নির্যাতন চালান। পুলিশের নির্যাতনে আমিরুলের মৃত্যু হয়েছে।’

ডিবির পরিদর্শক নাসির বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ফারুক ও নাসিরকে ধরার জন্য শ্রীকোল বাজারে যাই। কিন্তু আমাদের দেখে কেউ দৌড়ে পানিতে লাফিয়ে পড়েছে কি-না বুঝতে পারিনি। কিন্তু হঠাৎ স্থানীয় লোকেরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।’

ঘটনাস্থলে উপস্থিত মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘এলাকাবাসীর কাছ থেকে প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। তবে আমিরুলকে গ্রেফতার করার জন্য ডিবি পুলিশ সেখানে যায়নি। তাকে আটক করার জন্য থানা পুলিশ যাবে। একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

নিখোঁজ আমিরুলের স্ত্রী মরিয়ম নেছার অভিযোগ, পুলিশ পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করেছে। স্থানীয় লোকেরা বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়।