বেনাপোল বন্দরে ২৫০০ কেজি ভায়াগ্রা আটক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বেনাপোল (যশোর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বেনাপোল বন্দর, পুরনো ছবি

বেনাপোল বন্দর, পুরনো ছবি

মিথ্যা ঘোষণায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা ১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের আড়াই মেট্রিক টন (২৫০০ কেজি) পাউডার জাতীয় ভায়াগ্রার একটি চালান আটক করেছে কাস্টমস সদস্যরা।

বুধবার (৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় বেনাপোল কাস্টমস অডিটোরিয়ামে কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ চৌধুরী আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ২৬ মে বেনাপোল বন্দর থেকে সন্দেহমূলক পাউডার জাতীয় ভায়াগ্রার চালানটি জব্দ করে কাস্টমস সদস্যরা। পরে বিভিন্ন ল্যাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ভায়াগ্রা নিশ্চিত বলে নিশ্চিত হয় কর্তৃপক্ষ।

অভিযুক্ত আমদানিকারক ঢাকার ৪৭/সি মিটফোর্ড রোড এলাকার বায়েজিত এন্টারপ্রাইজ ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোলের সাইনী শিপিং সার্ভিসেস।

বিজ্ঞাপন

কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন চৌধুরী জানান, গোপন খবরে তারা জানতে পারে, মিথ্যা ঘোষণায় (সোডিয়াম স্টার্চ গ্লাইকোলেট) নামে বেনাপোল বন্দর দিয়ে এক আমদানিকারক ভায়াগ্রার চালান পাচার করছে। পরে কাস্টমস সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এ মাদক দ্রব্যের চালান জব্দ করে। পরে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তা বেশ এক মাসের বেশি ধরে বিভিন্ন মান সম্পন্ন ল্যাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয় যে, এটি ভায়াগ্রা। অভিযুক্ত সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

কাস্টমস কমিশনার আরও জানান, এটি দেশে এ যাবৎ কালের আটকের মধ্যে সর্ববৃহৎ মাদকের চালান। মাদক দ্রব্যের চালানটি আটক করায় তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাবেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, এর আগে গত ১৩ এপ্রিল বেনাপোল বন্দর দিয়ে মিথ্যা ঘোষণায় পাচারের সময় ২০০ কেজি ভায়াগ্রার চালান আটক করে কাস্টমস সদস্যরা। এ চালানের অভিযুক্ত আমদানিকারক ছিলেন, ঢাকার কলাবাগানের ক্রিসেন্ট রোডের ১৫৩/৩ কাঁঠালবাগান এলাকার রেড গ্রিন ইন্টারন্যাশনাল। অবৈধ আমদানিতে সহযোগিতায় ছিলেন, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহাদ এন্টারপ্রাইজ।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, এ আমদানিকারকের মতো অসংখ্য ব্যবসায়ী আছেন, যারা এভাবে মাদকের পাশাপাশি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবাধে আমদানিযোগ্য পণ্যও পাচার করছে। মাঝে মধ্যে দুএকটা চালান আটক হলেও অধিকাংশ থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলেও রাঘব বোয়ালরা থাকছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এতে কোনোভাবেই রোধ হচ্ছে না অবৈধ এ আমদানি।