বন্যায়-ভাঙনে দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্তরা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সিরাজগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

সিরাজগঞ্জে বন্যা ও ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ক্ষতিগ্রস্তরা। কীভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নেবে সে দুশ্চিন্তায় ভুগছে তারা।

জানা গেছে, গত তিন সপ্তাহের বন্যা-ভাঙনে সিরাজগঞ্জ জেলার পাঁচটি উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলায় প্রায় দেড়শ কোটি টাকার ফসলহানি হয়েছে। পঞ্চাশ হাজারের বেশি বসতভিটার ক্ষতি হয়েছে। এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকারের সহায়তা কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্তরা।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও জেলার প্রায় দশ হাজারের বেশি তাঁত কারখানা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মালিক-শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো সবাই নিম্ন আয় পরিবারের।

অর্থ না থাকায় ঘর মেরামত করতে না পেরে ভাঙা ঘরেই জোড়াতালি দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকতে হচ্ছে। কৃষি নির্ভরশীল মানুষগুলোর ফসল ধান, পাট, আখ ও শাকসবজি নষ্ট হওয়ায় তারা আরও চরম বিপাকে পড়েছে। আর ভাঙনে সর্বহারা পরিবারগুলোর ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশের নিচে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিলীন হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচে পাঠদান চলছে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/07/1565188400862.jpg

এখনো চৌহালী ও এনায়েতপুর পয়েন্টে ভাঙন অব্যাহত থাকায় নদীর তীর এলাকার মানুষের নির্ঘুম রাত কাটছে। প্রতিনিয়ত ঘরবাড়ি-গাছপালা বিলীন হওয়ায় পরিবেশের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে।

খোকশাবাড়ী শিকদার বাড়ি এলাকার আফজাল, মজনু, আয়নুল, হামিদা খাতুন জানান, একদিকে ফসল নষ্ট হয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। অন্যদিকে ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভাঙা ঘরে রাত যাপন করতে হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহম্মেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও পরিবারের তালিকা তৈরি শেষে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দ দিলে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।