পাবনায় এডিস মশার লার্ভার সন্ধান, নতুন করে আতঙ্ক

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পাবনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এডিস মশা। ছবি: সংগৃহীত

এডিস মশা। ছবি: সংগৃহীত

পাবনা শহরের পৌর এলাকার বিআরটিসি ডিপোতে ও এক ব্যক্তির বাড়ির ছাদে জমে থাকা পানিতে ডেঙ্গু রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে।

এদিকে এ খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে শহরসহ পুরো জেলায় ডেঙ্গু আতঙ্ক নতুন করে দেখা দিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে নতুন করে নড়েচড়ে বসেছে জেলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। শহরের বিভিন্ন স্থানে এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা তার অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।

এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে নিশ্চিত করেন পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, বুধবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় পাবনা শহরের পৌর এলাকার বিআরটিসি ডিপোতে পরিত্যক্ত গাড়ির টায়ারে এবং জনৈক ব্যক্তির বাড়ির ছাদের উপর জমে থাকা পানিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে। পাবনা জেলা সিভিল সার্জন অফিসের গঠিত ৫ সদস্যের একটি অনুসন্ধান টিম এই এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পায়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে তারা এডিস মশার লার্ভার জীবাণু ধ্বংস করে।

মেহেদী ইকবাল আরও জানান, এ ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সম্মিলিত ভাবেই এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধে সর্বাত্মক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে এর আগে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে জুলাই মাসে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে রোগী ভর্তি হলেও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করে, আক্রান্ত রোগীরা ঢাকা থেকে এই ডেঙ্গু রোগ বহন করে এসেছেন।

সবশেষ জুলাই মাসের শেষের দিকে পাবনা সদরের মনোহরপুর গ্রামের ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী রঞ্জু মালিথা গণমাধ্যমে জানান, তিনি গত ৪ মাসে পাবনা থেকে কোথাও যাননি। অথচ তিনি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন।

এমনিভাবে হাসপাতালে সবশেষ ৩৭ জন রোগী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন পাবনা ছেড়ে কোথাও যাননি। এমন প্রশ্নে হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের চিকিৎসক ডা. আনান জানিয়েছিলেন, রোগীরা ঢাকায় আক্রান্ত এবং এডিস মশা ট্রাভেলস হিসেবে আসতে পারে।

তখন পাবনার সিভিল সার্জন মেহেদী ইকবাল দাবি করেছিলেন, ডেঙ্গু মহামারি হলেও তার কার্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ টিম পাবনায় কোনো এডিস মশা বা লার্ভার অস্তিত্ব পায়নি।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রঞ্জন কুমার দত্ত জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৩ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ জন। আর সুস্থ হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বাড়ি ফিরেছেন ১৭ জন। এ নিয়ে হাসপাতালে ১২৪ জন রোগী চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।