যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ: সম্ভাবনার নতুন দ্বার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, সুনামগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণাধীন সেতু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণাধীন সেতু, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হওয়ায় এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, যাদুকাটা নদীর উপর কোনো সেতু না থাকায় জেলার তাহিরপুর, ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বাসিন্দাদের যাতায়তে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বর্ষায় নৌকা এবং শুষ্ক মৌসুমে হেঁটে বা মোটরসাইকেল ছাড়া যোগাযোগের বিকল্প কোনও ব্যবস্থা নেই। তাই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে যাদুকাটা নদীর উপর ‘শাহ আরেফিন ও অদৈত্য মহাপ্রভু’ সেতু নির্মাণ করছে সরকার। ফলে নির্মাণাধীন সেতু চালুর পর এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন হবে বলে আশা এলাকাবাসীর।

বিজ্ঞাপন

বাদাঘাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সমাজসেবক নিজাম উদ্দিন বার্তাটোযেন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'এই সেতু নির্মাণের ফলে তাহিরপুর উপজেলা অধিক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। কারণ তাহিরপুরের উত্তরে মহান সাধক শাহ্ আরেফিন (র.) এর আস্তানা, যাদুকাটা নদীর তীরে শ্রী শ্রী অদ্বৈতা মহাপ্রভুর আশ্রম, পূর্ণতীর্থ স্থান এবং দক্ষিণে ঐতিহাসিক লাউড় রাজ্যের রাজধানী হলহলিয়ার ধ্বংসাবশেষ, নীল জলরাশির শহীদ সিরাজ লেক, বারেকটিলা, শিমুল বাগান ও দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট টাংগুয়ার হাওর, তিনটি (বড়ছড়া, চারাগাওঁ, বাগলী) কয়লা স্থলবন্দর রয়েছে। ফলে প্রতিদিনই হাজার হাজার পর্যটক আসেন এই এলাকায়।'

তিনি আরও বলেন, 'যাদুকাটা নদীর উপর নির্মাণাধীন সেতু এবং সড়ক নির্মাণ শেষ হলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। ফলে তাহিরপুর উপজেলাকে পর্যটন সমৃদ্ধ উপজেলা হিসাবে পরিচিতি পাবে।'

বিজ্ঞাপন

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'যাদুকাটা নদীর উপর সেতু নির্মাণ হলে এই এলাকায় যুগান্তকারী পরিবর্তন সাধিত হবে। এ উপজেলার তিনটি শুল্ক বন্দর থেকে কয়লা চুনাপাথর পরিবহন ও সুনামগঞ্জ জেলার সাথে তাহিরপুর, মধ্যনগর, কলমাকান্দা ও নেত্রকোনা জেলার সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা, যাত্রী ও মালবাহী যান চলাচল সহজ হবে। পাশাপাশি এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান হবে।'

তাহিরপুর উপজেলার প্রকৌশলী মো. সাইদুল্লাাহ মিয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'নির্মাণাধীন সেতুর ১৪টি পিলারের মধ্যে ইতোমধ্যে পাঁচটির কাজ শেষ হয়েছে। আশা করি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সেতুর কাজ শেষ হবে।'

প্রসঙ্গত, ৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণ কাজ পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশন। গত বছরের ৮ এপ্রিল সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে সেতুর ২৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।