সড়ক দুর্ঘটনা
মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে শিশু নাহিদ
সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মাসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়ে ভাগ্যগুণে বেঁচে যাওয়া তিন বছরের শিশু নাহিদুজ্জামান নাহিদ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। রাজধানী ঢাকার অ্যাপেলো হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন আছে শিশুটি। দুর্ঘটনায় আহত নাহিদের চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে। আগামী সোমবার (১৯ আগস্ট) তার সার্জারি অস্ত্রোপচার করবেন চিকিৎসকরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে বার্তা২৪.কমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাহিদের চাচা নুরুজ্জামান।
নাহিদের বাড়ি নেত্রকোনার জেলার দূর্গাপুরে। তার বাবা রফিকুজ্জামান নরসিংদী জেলার একটি টেক্সটাইল মিলের মালিক।
গত ১৬ আগস্ট শুক্রবার নাহিদের পরিবার প্রাইভেটকারযোগে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের গাও রামগোপালপুর এলাকায় যাত্রীবাহী এমকে সুপার নামের একটি বাস ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়। এ সময় প্রাইভেটকারটি দুমড়েমুচড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গৌরীপুরে বাস-প্রাইভেটকার সংঘর্ষ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫
দুর্ঘটনায় নাহিদের মা শাহীনা আক্তার বাবা রফিকুজ্জামান, বড় ভাই নাদিম মাহমুদ, বোন রওনক জাহান ও মামা জিসান কবীর আশরাফ প্রাণ হারান। ভাগ্যগুণে বেঁচে যায় শিশু নাহিদ ও চালক স্বপন মিয়া।
নাহিদ রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। চালক স্বপন মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
অপরদিকে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো নাহিদের বাবা-মা, ভাই-বোন ও মামাকে শনিবার নেত্রকোনার দূর্গাপুরে দাফন করা হয়েছে। সব হারানো নাহিদ এখন তার দাদা-দাদির তত্ত্বাবধানেই থাকবে।
নাহিদের চাচা নুরুজ্জামান বলেন, ‘নাহিদ এখনো আইসিইউতে আছে। তার শরীরে বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়েছে। এখনো জ্ঞান ফেরেনি। চিকিৎসকরা বলেছেন আমাদের ধৈর্য ধরতে। সবাই আমাদের নাহিদের জন্য দোয়া করবেন।’
এদিকে, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শুক্রবার রাতে বাসের চালককে (অজ্ঞাতনামা) আসামি করে গৌরীপুর থানায় মামলা করেছেন রফিকুজ্জামানের ছোট ভাই নুরুজ্জামান। কিন্তু পুলিশ রোববার রাত সোয়া ১০টা পর্যন্ত আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেননি।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম মিয়া বলেন, ‘মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।’