শীতলক্ষ্যার তীরে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শীতলক্ষ্যার তীর হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

শীতলক্ষ্যার তীর হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অর্ধশত কাঁচা পাকা স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। একই সঙ্গে নদী ভরাট করায় অ্যাসকোয়ার গার্মেন্টসকে নগদ ৫০ হাজার ও জয়া অ্যাপারেলস নামক গার্মেন্টসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে শীতলক্ষ্যায় তৃতীয় দফায় তৃতীয় দিনের মতো উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়। এদিন নদীর তীরে একটি ৬তলা ভবনের আংশিক, জয়া অ্যাপারেলস, স্ক্যান সিমেন্ট, ডেল্টা ডকইয়ার্ড, সোনালী পেপার মিলস, রহমান কেমিক্যালসের আংশিক অংশ সহ অর্ধশত স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

শীতলক্ষ্যার তীরে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক শেখ মাসুদ কামাল জানান, অনেকেই গুলশান বনানীতে থাকেন অথচ নদীর তীরে জায়গা দখল করে ভবন নির্মাণ করে নাম দেন নদী বিলাস। শীতলক্ষ্যা, মেঘনা ও ধলেশ্বরীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি শীত মৌসুমের পূর্বে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পরে নদীর তীর রক্ষায় সীমানা পিলার, ওয়াকওয়ে বনায়নের মাধ্যমে নদীর তীরে বসন্তের আবহাওয়া ফিরিয়ে আনা হবে।

বিজ্ঞাপন

শীতলক্ষ্যার তীরে অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর তীর দখল ও ভরাটকারীরা কখনোই মানতে চান না। তারা বলেন, ভূমি অফিস থেকে তাদেরকে জমি মেপে বুঝিয়ে দিয়েছে। এ কারণে অনেক সময় উচ্ছেদ অভিযানে দীর্ঘসূত্রিতা দেখা দেয়। তবে দখলদাররা যতই বলুক না কেন নদী দখলের বিষয়টি দৃশ্যমান। নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে।