গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও থানায় বিয়ে: আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন
পাবনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণ ও ধর্ষকের সঙ্গে থানার মধ্যে বিয়ে দেয়ার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের সমন্বয়ে আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশে পুরো ঘটনা তদন্তের জন্য ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
পাবনার জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশক্রমে পাবনার ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদ নেওয়াজকে এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে। বাকি সদস্যরা হলেন- ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. একেএম আবু জাফর ও পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবনে মিজান।
জেলা প্রশাসক জানান, আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুরো ঘটনা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এর আগে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনা করা হয়। ওই কমিটিতে প্রধান ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মো. ফিরোজ আহমেদ। অন্য দুইজন সদস্য হলেন- কোর্ট ইন্সপেক্টর ও ডিআই-১। তিন কার্য দিবসে ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্তে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় বৃহস্পতিবার পাবনা সদর থানার ওসি ওবায়দুল হককে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ও উপপরিদর্শক (এসআই) একরামুল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৯ আগস্ট এক গৃহবধূকে ৪ দিন আটকে রেখে গণধর্ষণ করা হয়। এক সময় নির্যাতিতা পালিয়ে সদর থানায় আশ্রয় নেন এবং অভিযোগ করেন। কিন্তু তার অভিযোগ আমলে না নিয়ে পুলিশ ধর্ষক রাসেলের সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিয়ে দেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় গৃহবধূ গণধর্ষণ: ওসি প্রত্যাহার, এসআই সাময়িক বরখাস্ত