থানায় সালিশ বৈঠকে গুলি বিনিময়, ওসিসহ আহত ১২
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে কয়েকদিন ধরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বার বার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছিল। এর সমাধানে সোনাইমুড়ি থানায় সালিশ বৈঠক চলাকালীন গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ওসিসহ ১২ জন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় এমপি এইচ এম ইব্রাহীম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে আসছে।
গতকাল মঙ্গলবার বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটলে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস ছামাদ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে উভয় পক্ষকে বুধবার রাতে সালিশ বৈঠক ডেকে সমাধানের আশ্বাস দেন।
পরে বুধবার রাত ৯টার দিকে বৈঠক শুরু হয়। এর কিছুক্ষণ পর এইচ এম ইব্রাহীম গ্রুপের ১৫-২০ জন ব্যক্তি ওই বৈঠকে এলোপাতাড়ি ককলেট, বোমা নিক্ষেপ ও গুলি করে।
এতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুস ছামাদ ও কনস্টেবল জসিমউদ্দীনসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। একই সঙ্গে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক আবু সায়েমসহ মোট আহত হয়েছেন ১২ জন। আহতদের মধ্যে বিপ্লব (২৫) নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহত আব্দুস ছামাদকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।