পাবনায় বাল্য বিয়ের দায়ে ৫ জনের জেল-জরিমানা
পাবনায় বাল্য বিয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জনের জেল-জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অন্যদিকে কন্যার পরিবার দরিদ্র হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে বাবাকে নতুন বাড়ি এবং কন্যাকে সরকারি খরচে পড়ালেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের খয়েরবাগান এলাকায় শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাতে মাদরাসা পড়ুয়া সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) নেতৃত্বে সদর উপজেলা পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে দেয়। এ সময় বর নাইম হোসেন (২৪), তার বাবা ও তিন ভগ্নিপতিকে কারাদণ্ড এবং কাজীকে আর্থিক জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম জানান, ইউএনও’র নির্দেশে বাল্যবিয়ে বন্ধের এই অভিযান চালানো হয়।
পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন জানান, স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পুলিশের সহযোগিতায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বর নাইম হোসেনকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, তার বাবা হেলাল হোসেনসহ বরের তিন ভগ্নিপতিকে ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং কাজী আওকাত হোসেনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জয়নাল আবেদীন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘মেয়ের বাবা নিজের ভুল এবং দারিদ্রতার কথা স্বীকার করায় সরকারের পক্ষ থেকে আমরা মেয়েটির পড়াশুনার দায়িত্ব নিয়েছি। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর অধীনে তাকে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে দেবেন না- এ মর্মে মুচলেকা দিয়েছেন মেয়ের বাবা।’
এদিকে, সরকারিভাবে নতুন বাড়ি ও মেয়েকে সরকারি খরচে পড়ালেখা সুযোগ করে দেওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।