পটুয়াখালীতে ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ২য় দিনের ধর্মঘট
পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার মশিউর রহমানকে হত্যার হুমকি ও সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো ধর্মঘট পালন করছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের অংশ হিসেবে পটুয়াখালী শহরের বেসরকারি সকল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।
এদিকে রোববার রাতে চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকরা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ও আন্দোলনের পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে বৈঠকে বসলেও ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ কারণে ধর্মঘট অব্যাহত রয়েছে।
জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মনির হোসেন জানান, ধর্মঘট শুরু করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত মামলা গ্রহণ করেনি। মামলা না নেওয়া পর্যন্ত এবং আসামিদের গ্রেফতার না করলে এই ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
এদিকে পটুয়াখালী ১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, চিকিৎসক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে চেষ্টা করলেও এখনো সমাধান মেলেনি।
পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে প্রয়োজনীয় শয্যা ও পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় অধিকাংশ মানুষ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেন। হঠাৎ করে টানা এই ধর্মঘটের কারণে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর একদল দুর্বৃত্ত পটুয়াখালী বেসরকারি ক্লিনিক সেন্ট্রাল হাসপাতালে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়ে স্টাফদের মারধর করে। এ সময় ডাক্তার মশিউর রহমানকে হত্যার হুমকি প্রদান করা হয়। এর প্রেক্ষিতে সদর থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ না করায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে টানা ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) এবং জেলা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।