ঘুষ না দেওয়ায় নৈশপ্রহরীদের বেতন আটকে রাখার অভিযোগ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নরসিংদী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) না দেওয়ায় ৩৪ জন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীর বেতন আটকে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেতন বঞ্চিত ৩৪ জন দফতরি কাম নৈশপ্রহরী উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আজাদের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগও করেছেন।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, মনোহরদী উপজেলায় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আজাদ যোগদানের পর থেকে সরকারি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) আদায় ও হয়রানি করে আসছেন। এরই ধারাবহিকতায় মনোহরদী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীদের বকেয়া ও নিয়মিত বেতন তোলার সময় চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত অর্থ (ঘুষ) না দিলে হয়রানি করেন।

দফতরি কাম নৈশপ্রহরীদের অভিযোগ, তাদের ৩৬ মাসের বকেয়া বেতনের অর্থ ছাড় হয়েছে গত জুলাই মাসে। এ অর্থ তুলতে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আজাদ নৈশপ্রহরীদের কাছে দেড় লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ সময় তারা বকেয়া বেতন পেয়ে অতিরিক্ত অর্থ দেবেন মর্মে কথা দেন। কিন্তু ঘুষ না পেয়ে তিনি আগস্ট মাসের বেতনের ফাইল আটকে রাখেন। ফলে গত ২৩ সেপ্টেম্বর এ কর্মকর্তার বিচার ও বদলি দাবি করে ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

উপজেলার মইশাকান্দি বিদ্যালয়ের দফতরি কাম নৈশপ্রহরীদের জামিল মিয়া জানান, উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আজাদের দাবিকৃত দেড় লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় আগস্ট মাসের বেতন আটকে আছে।

অভিযোগের বিষয়ে আব্দুর রহমান আজাদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, ‘আমি কখনো ঘুষ দাবি করিনি। আর কোনো প্রকার কারণ ছাড়া ফাইল আটকে রাখার অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা।’

দফতরি কাম নৈশপ্রহরীদের অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করে মনোহরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিয়া আক্তার শিমু বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘দফতরি কাম নৈশপ্রহরীদের লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে অর্থ ছাড়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’