পৌরসভার গাড়িচালকের ভুলেই টাকা নিয়ে তোলপাড়!
কুচি কুচি করা বাতিল ও অচল টাকা বিলের পানিতে পাওয়ার ঘটনায় শাস্তি পেতে যাচ্ছেন বগুড়া পৌরসভার গাড়িচালক মাসুম। তার ভুলেই টাকার বস্তা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগ তুলে মাসুমকে শাস্তি দিতে যাচ্ছে পৌরসভা। কুচি কুচি করা টাকা নিয়ে সারাদিন হৈ চৈ হওয়ায় পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বিলের পানি থেকে টাকার বস্তাগুলো তুলে নির্দিষ্ট ভাগাড়ে ফেলেছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে বিলের পানিতে ফেলা টাকার বস্তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের মধ্যে নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনা চলতে থাকে।
এ দিন দুপুরের পর প্রকৃত ঘটনা জানাজানি হলে হৈ চৈ স্তিমিত হলেও প্রশ্ন ওঠে- বাতিল হওয়া টাকাগুলো বিলের পানিতে ফেলে দেওয়া কতটুকু যুক্তিযুক্ত? টাকাগুলো বর্জ্য হিসেবে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হলেও সেগুলো ভাগাড়ে না ফেলে কেন বিলের পাড়ে পানিতে ফেলা হলো? মানুষের মুখে মুখে এমন সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে।
এ ব্যাপারে বগুড়া পৌরসভার কনজারভেটিভ বিভাগের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, গাড়িচালক মাসুমের ভুলেই এ ধরনের অনভিপ্রেত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। চালক মাসুমের গ্রামের বাড়ি জালসুকায়, তিনি সময় বাঁচাতে নির্দিষ্ট ভাগাড়ে না গিয়ে বাড়ির কাছে বিলের পাড়ে টাকার বস্তাগুলো ফেলে দেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আবারও পৌরসভার গাড়ি দিয়ে সেগুলো তুলে এনে শহরতলীর বাঘোপাড়ায় পৌরসভার ভাগাড়ে ফেলা হয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) চালক মাসুমের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মামুনুর রশিদ।
অপরদিকে বাংলাদেশ ব্যাংক বগুড়া শাখার জেনারেল ম্যানেজার জগন্নাথ চন্দ্র ঘোষ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, বাতিল টাকা আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা সনাতন পদ্ধতি। টাকা আগুনে পোড়ানো নিয়ে পরিবেশ অধিদফতরের আপত্তি রয়েছে। এ কারণে ১০০, ৫০০ এবং ১০০০ টাকার বাতিলযোগ্য নোট না পুড়িয়ে মেশিনে কেটে বর্জ্য হিসেবে পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করার জন্য প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। সেই হিসেবে ছিন্ন ভিন্ন করা ২৪০ বস্তা বাতিল টাকা বগুড়া পৌরসভা বর্জ্য হিসেবে গত রোববার নিয়ে যায়। এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শাজাহানপুর থানার খোট্টাপাড়া ইউনিয়নের জালসুকা গ্রামের পাশে খাউরার বিলের পাড়ে বস্তায় বস্তায় টুকরো টুকরো টাকা দেখতে পান স্থানীয়রা। মুহূর্তের মধ্যে তা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নমুনা সংগ্রহ করেন।