আশুলিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি আটক
সাংবাদিক মারধরের অভিযোগে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতি এস.এ শামীমকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ভুক্তভোগী সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল ওয়াহিদ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, সকালে কুরগাঁও সোসাইটি প্রফেসর পাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির জমি অবৈধভাবে দখলের সত্যতা জানতে সরেজমিনে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এ শামীমের বাঁধার মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তাকে ও জমি মালিকের স্বজন ওবায়দুর রহমানকে জোর করে ব্যক্তিগত অফিসে নেয় শামীম। পরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের রশি দিয়ে বেঁধে পাইপ ও লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেন।
বিষয়টি পুলিশকে জানালে, ঘটনাস্থল থেকে আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতি শামীমকে আটক করে পুলিশ। সেই সাথে আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
জমির মালিক কামরুল হাসান বলেন, 'প্রফেসর পাড়া এলাকায় পৈতৃক ১৯.২৫ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ জায়গা অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা করছে। পরে তিনি সাংবাদিক ও তার স্বজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুরোধ করেন। সেখানে সাংবাদিকসহ তার স্বজন গেলে তাদের মারধর করে শামীম ও তার সঙ্গীরা।'
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা শামীমের নির্যাতনের স্বীকার সিদ্দিকুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, গত বছরের ৪ জানুয়ারি তার ৯ শতাংশ জমি দখল করার জন্য সহযোগী ১৫ থেকে ১৬ জন সিদ্দিকুর রহমানকে অপহরণ করে ঢাকা হাউজিং সোসাইটি ও নফেল প্রজেক্টের ভিতরে নিয়ে যায়। প্রথমে তার দুই হাত-পা ও চোখ বেঁধে রড ও হকিস্টিক দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে নিস্তেজ করে। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার দুই পা ক্ষত বিক্ষত করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি। শামীম ও তার বাহিনী মৃত ভেবে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। এরপর হাসপাতালে দীর্ঘ চিকিৎসা নিলেও এখন পর্যন্ত কারও পা পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।
বর্তমানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করলেও জীবন বাঁচানোর জন্য রাজধানীর মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে পালিয়ে আছেন তিনি।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'মারধরের ঘটনা প্রমাণিত হলে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাহিদ হাসান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, 'এ ঘটনায় আশুলিয়া থানা ছাত্রলীগ সভাপতি শামীমকে আটক করা হয়েছে।'