ভোলার ১০৭টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ভোলা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পূজা মণ্ডপের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

পূজা মণ্ডপের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে

ভোলায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে জেলার ১০৭টি মণ্ডপে প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে।

রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভোলার বিভিন্ন মণ্ডপগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের দিকে। মণ্ডপগুলোতে প্রতিমা রং তুলির কাজ চলছে। একই সাথে চলছে ডেকোরেটর ও আলোকসজ্জার কাজ।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, জেলার ৪২টি মণ্ডপকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মণ্ডপগুলোতে থাকবে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সূত্র জানিয়েছে, এ বছর জেলার সাতটি উপজেলার ১০৭টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ভোলা দুর্গাপূজা

এরমধ্যে ভোলা সদর উপজেলায় ২৫টি, দৌলতখান উপজেলায় ৬টি, বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ২০টি, তজুমদ্দিন উপজেলায় ১২টি, লালমোহন উপজেলায় ১৭টি, চরফ্যাশন উপজেলায় ১৭টি ও মনপুরা উপজেলায় ১০টি। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৪টি মণ্ডপে বেশি পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শহরের বেশ কয়েকটি পূজা মণ্ডপ ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিমা তৈরি শেষে প্রতিমাগুলোতে রং তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মণ্ডপ সাজসজ্জার কাজ চলছে পুরোদমে। আলোকসজ্জা আর বাহারি সাজে গেইট নির্মাণ করা হচ্ছে। পূজার দিন যত ঘনিয়ে আসছে মণ্ডপ সাজানোর কাজ নিয়ে ততই ব্যস্ততা বাড়ছে পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দের। শহরের পাশাপাশি গ্রামের পূজা মণ্ডপগুলোতে বাহারি সাজে সাজানোর কাজ চলছে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে জানান, শারদীয় দুর্গাপূজার সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের দিকে। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের দফায় দফায় সভা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, ‘সার্বক্ষণিক মণ্ডপের তথ্য সরবারহের জন্য জেলা সদরের ২টিসহ প্রতি উপজেলায় একটি করে মোট ১০টি কন্ট্রোল রুম (তথ্য সেল) খোলা থাকবে। এছাড়াও প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশে প্রতিটি মণ্ডপে ১০ সদস্যের স্বেচ্ছাসেবক দল মোতায়েন থাকবে।

ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মো. কায়সার জানান, পূজা মণ্ডপে ৩ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি মণ্ডপে পুলিশ, সাদা পোশাকের পুলিশ ও আনসার মোতায়েন থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপগুলোতে অতিরিক্ত ফোর্স নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও পুলিশ ও র‌্যাবের মোবাইল টিম টহলে থাকবে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।