আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ ‘খ’ শ্রেণির ঘর নির্মাণে দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন। দুদকের সহকারী পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম অভিযোগ গ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সারাদেশের দরিদ্র মানুষের থাকার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ‘যার জমি আছে ঘর নেই, তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ’ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মাথা গোঁজার জন্য বসত ঘর তৈরির লক্ষ্যে ঘর প্রতি এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩নং জিরতলীতে ১৯০টি ঘর নির্মাণ বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন ৭৭ জনকে কোনো ঘর না দিয়ে টাকা নিজে আত্মসাৎ করেন।
দুদকে জমা দেয়া অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান নিজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কে. কে. ট্রেডার্সের নামে বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি অর্থ লোপাট করেছেন।
নোয়াখালীর দুদক অফিস সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩ নং জিরতলী ইউনিয়নে মহব্বতপুর, মুজাহিদপুর, মদিনাবাগ ও মাঠের পূর্ব পাশ বলতে কোনো গ্রাম নেই। কিন্তু মাস্টার রোলে অন্তর্ভুক্ত দেখিয়ে তালিকার ৮২, ১৩৮, ১৮০, ১৮৫ ক্রমিকে ভুয়া গ্রাম ও নাম, ঠিকানা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান। বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে জমা দেয়া তালিকায় একই ব্যক্তির নাম-ঠিকানা একাধিকবার ব্যবহার করার প্রমাণও মিলেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, চেয়ারম্যান অনেকের কাছ থেকে ঘর প্রতি ১৫-২৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে, দুর্নীতি বন্ধ করতে ও আত্মসাৎ করা অর্থ আদায় করতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা রিসিভ করেননি তিনি।