রেলমন্ত্রীর আগমন, উধাও স্টেশনের অবৈধ দোকান
টাঙ্গাইলের বিভিন্ন রেলস্টেশনসহ আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে মন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে। দেখলে মনে হবে এখানে কখনোই কোনো অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠেনি। কিন্তু মন্ত্রী আসার একদিন আগেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অসাধু কিছু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় স্টেশন এলাকায় গড়ে ওঠা বিভিন্ন অবৈধ দোকানপাটগুলো সেখানে ছিল।
বুধবার (২ অক্টোবর) বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব জামালপুর-ময়মনসিংহ সেকশন পরিদর্শনে এসে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশন এলাকায় যাত্রা বিরতিকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
এর আগে, সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব ও ঘারিন্দা স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, রেলমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ওই দুই রেলস্টেশনে স্থাপিত অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। পুরো স্টেশন এলাকা ছিল ফাঁকা। দেখে মনে হচ্ছে না পূর্বে এখানে কোনো ধরনের দোকানপাট ছিল।
তবে রেলযাত্রীরা জানান, মন্ত্রী বা কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা যখন পরিদর্শনে আসেন তখন স্টেশন এলাকার ভেতর ও বাইরের চিত্র একদিনেই বদলে যায়। কোনো ধরনের অবৈধ দোকানপাট থাকে না। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিদর্শন শেষ করে চলে যাওয়ার পর পুনরায় স্টেশন এলাকায় দোকান ঘর তোলার মহোৎসব শুরু হয়।
রেলস্টেশন ও রেলের জায়গাতে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাটের বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘রেলের যে বিষয়টা সেটা একটা ব্যবস্থাপনার মধ্যে আনতে কাজ করা হচ্ছে। রেল হচ্ছে জনগণের। অনেকেই ঘর তুলে ব্যবসা করছে। লিজ বা ভাড়া নিয়ে রেলের জায়গায় ঘর করে ব্যবসা করার ব্যবস্থা আছে। রেলের অনেক কর্মকর্তাই স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাধ্যমে রেলওয়ের জায়গায় ঘর তুলে টাকা তুলছেন। এতে রেল কিন্তু টাকা পাচ্ছে না। এদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, 'এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। সারাদেশেই অভিযান চলমান থাকবে। এতদিন রেলকে কেউ দেখতো না। রেলের জনবল কম। রেলকে একটা অবজ্ঞার সংস্থা হিসেবে পরিণত করা হয়েছে।'