প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি পেলেন গৃহহীন সমুতু জাহান
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বড়হিত ইউনিয়নের বৃপাঁচাশি গ্রামের সত্তোরোর্ধ্ব ভিক্ষুক সমুতু জাহান। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত আবদুর রশিদের স্ত্রী। বসবাস করতেন ভাঙা কুঁড়েঘরে। ঝড় এলে কেঁপে উঠতো তার ঘরটা। বৃষ্টি এলেই চালের ছিদ্র দিয়ে ভেতরে পড়ত পানি। কিন্তু অভাবের তাড়নায় ঘরটা ঠিক করতে পারতেন না তিনি। ভিক্ষাবৃত্তি করে যেখানে পেট চালানোই কষ্টকর, সেখানে নতুন একটা পাকা ঘর নির্মাণ তার কাছে স্বপ্নের মতো।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার টিআর/কাবিটা কর্মসূচির আওতায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে সেই স্বপ্নের পাকা ঘর পেয়েছেন সমুতু জাহান। তার মতো আরও ১১ জন গৃহহীন পাকা ঘর পাচ্ছেন। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১২টি ঘরের কাজ করা হয়। প্রতিটি পাকা বাড়ি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা।
পাকাঘর পাওয়া অন্যরা হলেন- তারুন্দিয়া ইউনিয়নে দিনমজুর শাহজাহান কবীর সুমন, উচাখিলায় দিনমজুর ফখর উদ্দিন, রাজিবপুর দরিদ্র আবদুল মমিন, মগটুলায় দিনমজুর মফিজ উদ্দিন, মাইজবাগে কামার লিটন চন্দ্র দাস, জাটিয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধী আজিজুল হক, আঠারবাড়িতে ভিক্ষুক কুলসুম বেগম, সরিষা ইউনিয়নে দিনমজুর হারুন অর রশিদ, সোহাগী ইউনিয়নে বিধবা সুফিয়া খাতুন ও শ্রমিক জজ মিয়া, এবং ঈশ্বগরঞ্জ ইউনিয়নে দরিদ্র জিন্নাত আলী।
সমুতু জাহান বলেন, ‘ভাঙাচোরা ঘরে থাকতাম। অহন শেখের বেটি আমারে নয়া বিল্ডিং বাড়ি দিছে। আমি হের লেই্যগা নামাজ পইরা অনেক দোয়া করি।’
প্রতিবন্ধী আজিজুল হক বলেন, ‘আমার একটা পাক্কা বাড়ি অইবো এইডা স্বপ্নেও ভাবি নাই। কিন্তু অহন প্রধানমন্ত্রী আমারে পাক্কা বাড়ি কইরা দিছে। আমি অনেক খুশি হইছি।’
ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে তালিকা সংগ্রহ করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে যাচাই বাছাই করা হয়। পরে প্রকৃত অসহায়দের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পাকাবাড়িগুলো এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়নি।’