লালপুরে বন্যায় ক্ষতি ৫ কোটি টাকা, গো-খাদ্যের সংকট
ভারী বৃষ্টি ও ফারাক্কা বাঁধ থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট বন্যায় পদ্মা তীরবর্তী নাটোরের লালপুর উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে আখ ও সবজীসহ প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লালপুর সদর, বিলমাড়ীয়া ও ঈশ্বরদী ইউনিয়নের সবকয়টি চর ও নিচু এলাকা ডুবে যাওয়ায় চলতি মৌসুমের সবজি, ফলের বাগান ও আখসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। যার নিরুপিত মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
এদিকে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি সম্পন্ন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় অন্তভুক্তি নিশ্চিত করতে কয়েক দফা তদারকি করা হয়েছে এ কাজে। এছাড়া দুর্গত এলাকাগুলোতে গো-খাদ্যের সংকট ও রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক গবাদি পশু খুরা ও গলাফোলা রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ অবস্থা দূরীকরণে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু করেছে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়।
লালপুর উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, পানি কমার পর গো-খাদ্যের চরম সংকট দেখা দিয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে স্যাঁতসেতে পরিবেশে গবাদি পশুগুলো অবস্থান করায় বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে পশু রোগ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, আকস্মিক বন্যায় লালপুরে কৃষি ক্ষেত্রে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে। এতে শীতকালীন সবজিসহ আখের সংকট তীব্র হবে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ‘বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের তালিকা কৃষি অফিসের মাধ্যমে করা হয়েছে। আমরা সরকারি সহযোগিতার চেষ্টা করছি। যে কোনো সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হবে।’