না.গঞ্জে একমাত্র মর্গের বেহাল দশা

  • সাবিত আল হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নারায়ণগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জে ময়নাতদন্তের জন্য রয়েছে একটি মাত্র মর্গ (লাশ কাটার ঘর)। ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে অবস্থিত এই মর্গের বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। প্রায় ৬ বছর আগে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে এ মর্গের কার্যক্রম শুরু হলেও পরবর্তীতে আর সংস্কার করা হয়নি। এমনকি গণপূর্ত বিভাগে চিঠি দিয়েও কোনও সুরাহা পায়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের দুইটি কক্ষ নিয়ে স্থাপিত হয় জেলার একমাত্র মর্গ। তবে দুইটি কক্ষে লাশ রাখার জন্য নেই পর্যাপ্ত মরচুয়ারি কুলার (মৃতদেহ সংরক্ষণের ফ্রিজ) কিংবা মৃতদেহকে রাখার কোনও কফিন (কাঠের বাক্স)। মাঝে মাঝে ধারণ ক্ষমতার বেশি লাশ আনা হলে ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন স্থানে ফেলে রাখতে হয়। সেখানেই চলে ময়নাতদন্ত।

বিজ্ঞাপন

মর্গের চারটি এসির মধ্যে একটি নষ্ট। ফলে বাকি তিনটি এসি চললেও মর্গ পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকে না। ফলে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য আনা লাশে দ্রুত পঁচন ধরে। আর সে কারণেই স্বজনরা লাশের ময়নাতদন্ত করার অনুমতি দিতে রাজি হন না।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি প্রয়াত সাংসদ নাসিম ওসমান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আধুনিক মর্গ হাউজটি উদ্বোধন করেন। কিন্তু এরপর মর্গের কোনো উন্নয়ন হয়নি।

মর্গের দেখভালে নিয়োজিত এক ডোম নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'মর্গে লাশ বেশি হলে মেঝেতে রাখা লাগে। আর বৃষ্টির দিনে মর্গের সামনে রাস্তায় পানি জমে মর্গের ভেতরে চলে আসে। ফলে পরিবেশ দ্রুত অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। আবার জানালার কাঁচ ভাঙা থাকায় সেখান থেকেও পানি আসে।'

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আসাদুজ্জামান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'আমরা মর্গের সমস্যার জন্য গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি পাঠিয়েছি। কিন্তু সেখান থেকে এখনও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এসি গুলোতে কিছুটা সমস্যা আছে কিন্তু আগে পুরো ৪টা এসি নষ্ট ছিল। এগুলো পরে মেরামত করা হয়েছে।'

গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ জাকির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'চলতি বছরেই মর্গের এসিগুলো মেরামত করানো হয়েছে। এরপর আর কোনো লিখিত অভিযোগ হাসপাতালে আসেনি। অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'গত বছর মর্গের মরচুয়ারি কুলারের জন্য ৪৮ লাখ টাকার একটি প্রস্তাবনা মন্ত্রাণালয়ে পাঠানো হয়েছে, যা এখনও অনুমোদন পায়নি।