দেড় হাজার টাকার বিদ্যুৎ বিল ৪৫ হাজার টাকা!

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, নাটোর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের বিলের কাগজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের বিলের কাগজ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নাটোরের সিংড়া উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা বাজারের একটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের দোকানে সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৪৫ হাজার টাকা। অথচ গত আগস্ট মাসে একই দোকানের বিদ্যুৎ বিল আসে এক হাজার ৭১৯ টাকা।

আগের মাসগুলোতে ব্যবহারের ভিত্তিতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ বিল ছিল ১৮০০ টাকার মধ্যে। অস্বাভাবিক এই বিল নিয়ে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিদ্যুতের ভূতুড়ে বিল নিয়ে কমবেশি সব গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা থাকলেও এমন অদ্ভুতুড়ে বিলের ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের চরম উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন গ্রাহকরা।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সিংড়া জোনাল অফিস থেকে ইস্যু করা এ বিলটি পাঠানো হয়েছে তাজপুর ইউনিয়নের রাখালগাছা বাজারের ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপের দোকান মালিক শাহাদত হোসেনকে।

বিলের কাগজে দেখা যায়, ওই প্রতিষ্ঠানের সেপ্টেম্বর মাসে বিল এসেছে ৪৫ হাজার ৬০৬ টাকা। অথচ জুলাই মাসে বিল এসেছিল মাত্র এক হাজার ২৮৬ টাকা এবং আগস্ট মাসে বিল এসেছিল এক হাজার ৭১৯ টাকা।

বিজ্ঞাপন

ব্যবসায়ী শাহাদাত হোসেন বলেন, 'একটি ওয়েল্ডিং মেশিন, কিছু সহায়ক যন্ত্র আর আলো ও বাতাসের জন্য লাইট-পাখা ছাড়া আর কিছু চলে না আমার দোকানে। এর ওপরতো লোডশেডিং আছেই। ভূতুড়ে বিলের একটা সীমা থাকা দরকার। এমন বিল আমি জীবনে দেখিনি। মিটার রিডিং ছাড়াই বিল লিখেছেন রিডাররা।'

রাখালগাছা বাজারে পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন গ্রাহক অভিযোগ করেন, রিডারদের উদাসীনতায় প্রতি মাসেই তাদের অযৌক্তিক বিল পরিশোধ করতে হয়। এ নিয়ে অভিযোগ করলেও প্রতিকার মেলে না।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রেজাউল করিম বলেন, 'কি কারণে এমন অস্বাভাবিক বিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'