‘ঘুষ নেই না, তবে খুশি হয়ে কিছু দিলে না করি না’

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, পঞ্চগড়
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মূল ফটকের দিকে তাকালে চোখে পড়বে ‘আমি ও আমার দপ্তর দুর্নীতিমুক্ত’ সংবলিত একটি লেখা। কথাগুলো স্পষ্টভাবে লেখা থাকলেও সেই দপ্তরের ভেতরে প্রধান সহকারী কোকিলেশ্বর বর্মণ ঘুষ ছাড়া কোনো কাজই করেন না। সিভিল সার্জন বরাবর এমন লিখিত অভিযোগ করেছেন শাহরিয়ার কবির নামে এক মেডিকেল শিক্ষার্থী।

শাহরিয়ার কবির জেলার বোদা উপজেলার বড়শশী ইউনিয়নের নাওতারী নবাবগঞ্জ গ্রামের শরিফ উদ্দিনের ছেলে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের সঙ্গে আলাপকালে এ অভিযোগ করেন তিনি।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, শাহরিয়ার কবির নামে ওই শিক্ষার্থী রংপুর সিটি ম্যাটস থেকে ৩ বছর মেয়াদি মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং কোর্স সম্পূর্ণ করেন। পরে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল থেকে ৯ মাস ইন্টার্নি ট্রেনিং শেষ করেন। এরপর নিয়ম অনুযায়ী তাকে নিজ জেলায় ৩ মাসের ইন্টার্নি কোর্স শেষ করতে হবে। যথারীতি শাহরিয়ার গত ১৪ অক্টোবর আবেদনপত্র নিয়ে পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কোকিলেশ্বর বর্মণের সঙ্গে দেখা করেন। তবে কোকিলেশ্বর বর্মণ ওই শিক্ষার্থীর কাছে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। এতে শাহরিয়ার ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানান। কিন্তু ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হবে না বলে জানিয়ে দেন কোকিলেশ্বর বর্মণ।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রধান সহকারী কোকিলেশ্বর বর্মণ বলেন, ‘আমি ঘুষ নেই না। তবে কেউ যদি খুশি হয়ে কিছু দেয় তাহলে না করি না।’

পঞ্চগড় সিভিল সার্জন ডা. নিজাম উদ্দিন জানান, ‘প্রধান সহকারী কোকিলেশ্বরের নামে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তে যদি ঘুষ চাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে প্রধান সহকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’